
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের বিখ্যাত মডেল ও অভিনেত্রী শম্পা রেজা বলেছেন, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী আমাদের ছোট্ট বেলার শিক্ষক। আমি যখন ক্লাস ওয়ান-টুতে পড়ি সেই সময়ের লম্বা পথ চলা ফেরদৌসী খালার সাথে।
জ্যোতি বাবুর কাটুম-কুটুম দেখে আমিও কিন্তু সিলেটের বাসায় কাটুম-কুটুম বানাতে শুরু করেছিলাম। ওটা আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে অনুকরণ করে নয়। হ্যাঁ, সিলেটের জলে ভেসে আসা ড্রিফটউড যেটাকে বলে ইংরাজিতে সেটা দিয়ে আমি শুরু করেছিলাম।
পরবর্তীতে যখন ফেরদৌসী খালার সাথে আবার সংযোগ স্থাপন হল বিশেষ করে যখন বেগম সুফিয়া কামালের বাসার পার্শবর্তী বাসায় উনি থাকেন। আমরা আবার মহাবন্ধু হয়ে গেলাম। এই কাটুম-কুটুম বা এই যে কাঠ পুরনো কাঠ কুড়ুনীর একটা রূপ আমাদের দুজনের মধ্যেই আছে। কিন্তু আমি তো আর্টিস্ট নই। আমি ফেরদৌসী খালার চোখকে হিংসা করতাম। ওর মনকে হিংসা করতাম যে কিভাবে এরম দেখে, আমি কেন দেখতে পাই না।
আজকে যেটা হচ্ছে, রাশা বাবু যেটা করছেন ওটা শিল্পী বনে যাওয়ার জন্য নয়, এটা শিল্প সন্ত্রাস, আমি এটিকে শিল্প সন্ত্রাস বলবো। রাশার এত বড় দুঃসাহস কি করে হয়? এত বড় দুঃসাহস। কটা বছর মোটেই কেটেছে আমার ফেরদৌসী খালা, আমার বন্ধু চলে গেছে, তারপরে এরকম একটি মানুষের উদ্ভব কি করে ঘটে? কারা আছে এর পেছনে? কারা তাকে এলাও করে? এক্সিবিশন করার জন্য একটি গ্যালারি কি করে এলাও করে? তারা কি আর্টের ইতিহাস জানে না বাংলাদেশে? বাংলাদেশের আর্টের ইতিহাস জানলে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর এই কাঠমূর্তি, কাঠের ঘটনা, কাঠের গল্প এটা জানার কথা।
বিশেষ করে গ্যালারিদের তো জানার কথা, গ্যালারি মালিকদের জানার কথা। এটা কি করে সম্ভব হলো আমি ঠিক বুঝে উঠছি না। এটা কি পরিকল্পিতভাবে কোন কাজ নাকি, এটাও দেখতে হবে। অতএব আমাদের দুটো দাবি এখানে। একটা হল এই শিল্প সন্ত্রাসের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য লিগ্যাল স্টেপ নেওয়া আর একটা হল ফেরদৌসী খালার কাজগুলোকে সংরক্ষণ করা।