ছবি: সংগৃহীত
শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়া ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমালা হ্যারিস। তার বিপক্ষে ভূমিধস জয় পেয়ে হোয়াইট হাউসের চাবি পাচ্ছেন এখন রিপাবলিকান নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে ট্রাম্প ও কমালাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এতে বলা হয়, ইতিমধ্যেই নির্বাচনে পরাজয়ের কথা স্বীকার করেছেন কমালা। বুধবার রাতে দেয়া এক ভাষণে তিনি বিজয়ের জন্য ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান। এরপর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথাও জানান কমালা। সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা এই নির্বাচনের ফলাফল স্বীকার করছি, কেননা আমাদের আনুগত্য প্রেসিডেন্ট বা দলের প্রতি নয়, সংবিধানের প্রতি।
ওদিকে বাইডেনের আমন্ত্রণ পেয়েই কাকে কোন দায়িত্ব দেবেন তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে ট্রাম্প শিবির। জানা গেছে অনুগতদের বাইরে এমন কাউকে দায়িত্ব দেয়া হবেনা যিনি ট্রাম্পের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বাধা হতে পারে।
ওয়শিংটন পোস্টের খবর অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ট্রাম্প ইতিমধ্যেই তার প্রশাসনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন, উপদেষ্টারা মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের জন্য প্রার্থীদের তালিকা গুছিয়ে আনছেন বলে জানা গেছে। ট্রেজারি সেক্রেটারি পদে প্রতিযোগীদের মধ্যে হেজ ফান্ড বিনিয়োগকারী ধনকুবের জন পলসন এবং অর্থনৈতিক উপদেষ্টা স্কট বেসেন্টকে অন্তভুক্ত করা হয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের জন্য সিনেটর মার্কো রুবিও এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান রিচার্ড গ্রেনেলের নাম বিবেচনা করছে ট্রাম্প শিবির। এছাড়াও এই ডিপার্টমেন্টে সম্ভাব্য তালিকায় উল্লেখযোগ্য কয়েকজনের নাম রয়েছে। তারা হচ্ছেন- নর্থ ডাকোটা গভর্নর ডগ বার্গাম এবং বিবেক রামাস্বামী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্ভাব্য ব্যক্তি হচ্ছেন সিনেটর টম কটন।
শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য ট্রাম্পের প্রথম কাজ হচ্ছে একজন চিফ অফ স্টাফ বাছাই করা। এক্ষেত্রে ব্রুক রোলিন্সের পাশাপাশি তার প্রচার উপদেষ্টা সুসি ওয়াইলস এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের প্রচার দল হাজার হাজার প্রার্থীকে যাচাই করেছে যাতে কেবল অনুগতদেরই নির্বাচন করা হয়েছে, কারণ ট্রাম্প তার এজেন্ডাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন অবিশ্বস্ত ব্যক্তিদের এড়াতে বদ্ধপরিকর।