ছবি: সংগৃহীত
বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিকদেও দুর্ভোগ দূর করতে নিউইয়র্ক সিটিতে আরো ৬০০ চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা হচ্ছে। বর্তমানে পাঁচটি বরোয় থাকা ১০০টি স্টেশনের মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করা খুবই কঠিন হয়ে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। আর এ জন্য বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ১৫ মিলিয়ন ডলার।
নিউইয়র্ক সিটিতে ২০২১ সালের জুনে কন এডিসন ও নগর কর্তৃপক্ষ পাঁচটি বরোর ৩৫টি স্থানে ১০০টি বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন স্থাপন করে। কিন্তু সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সিটিতে বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকায় এগুলোতে প্রয়োজন পূরণ করতে পারছিল না।
নতুন চার্জিং স্টেশন স্থাপনে পিছিয়ে থাকা এবং স্বল্প আয়ের এলাকাগুলো অগ্রাধিকার পাবে। ওইসব এলাকায় বসবে প্রায় অর্ধেক চার্জিং স্টেশন।
এ ব্যাপারে মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, আমরা সব নিউইয়র্কবাসীর জন্য আরো পরিষ্কার, আরো সবুজ ও আরো সাশ্রয়ী নগরী নির্মাণ করছি। ১৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হচ্ছে দেশের বৃহত্তম ইভি চার্জিং কর্মসূচিতে। আর এ কারণে স্বল্প আয় এবং পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোর ওপর নজর নিবদ্ধ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘গ্রিন রাইডস’ উদ্যোগের আওতায় আমরা আমাদের ভাড়া করা সব গাড়ি ইভিতে পরিণত করতে চাই।
বরাদ্দ করা অর্থ দিয়ে নিউইয়র্ক সিটির আটটি পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রে ৩২টি সৌরÑশক্তি চালিত পোর্ট নির্মাণ করা হবে বলে মেয়র জানিয়েছেন।
গাড়ির সংখ্যা বাড়ায় এবং চার্জিং স্টেশন কম থাকায় বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিকদের প্রতিদিনই কয়েক ঘণ্টা করে সময় নষ্ট করতে হয়। এতে তাদের মধ্যে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে।
ইভি মালিক মাইকেল ¯œাইডার মনে করেন, এখন চার্জ করতে অনেক সময় আট ঘণ্টাও লেগে যায়। এত সময় তো বসে থাকা যায় না। ফলে অনেকে গাড়ি ফেলে যায়। অথচ কাজটি ১৫ মিনিটেই হয়ে যাওয়ার কথা।
তিনি বলেন, চার্জিং করতে সমস্যা হওয়ার কারণে অনেকে বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে চাচ্ছে না। তিনি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, আমাকে যদি আরেকটি গাড়ি কিনতে বলা হয়, তবে কোনোভাবেই আর বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনব না। তিনি গাড়ি চার্জ করার সমস্যার কথাই বলেন। তিনি বলেন, আপনার বাসায় যদি চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকে, তবে আমি বৈদ্যুতিক গাড়ি না কেনার পরামর্শ দেব।