সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

১০০ ডলারের মুদিসামগ্রী এখন ১৩৭ ডলার

যুুক্তরাষ্ট্রে হু হু করে  বাড়ছে পণ্যের দাম

নবযুগ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০০:০৫, ৬ এপ্রিল ২০২৪

যুুক্তরাষ্ট্রে হু হু করে  বাড়ছে পণ্যের দাম

ছবি - নবযুগ

মাত্র পাঁচ বছর আগের কথা। ১০০ ডলার দিয়েই সব মুদিসামগ্রী কেনা যেত। এখন ওই একই পণ্য, একই পরিমাণে কিনতে গেলে খরচ করতে হচ্ছে ১৩৭ ডলার। খাদ্যের মুদ্রাস্ফীতি বিশ্লেষণ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

আসন্ন নির্বাচনে খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি প্রধান ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। রিপাবলিকানরা বলছে, বাইডেনোমিক্সের কারণে ফতুর হতে বসেছে মার্কিনিরা।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিতে ২০১৯ সালে এক ডজন ডিমের গড় দাম ছিল ২.৩৬ ডলার। আজ জো বাইডেনের আমলে তা বেড়ে হয়েছে ৩.৮৪ ডলার। অর্থাৎ এক ডজন ডিমে দাম বেড়েছে ১.৪৮ ডলার।
পাঁচ বছর আগের তুলনায় সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে লন্ড্রি ডিটারজেন্টে। ২০১৯ সালে এক বোতল ডিটারজেন্টের দাম ছিল গড়ে ৭.৮৩ ডলার। এখন এর জন্য দাম দিতে হয়েছে ১০.৬৬ ডলার। বেড়েছে ২.৮৩ ডলার।
দুধ, মাখন, সিরিয়াল, টয়লেট পেপার ইত্যারি মতো গুরুত্বপূর্ণ আইটেমের দামও ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
২০১৯ সালে এক গ্যালন দুধের দাম ছিল ২.৭৩ ডলার। আজ তা হয়েছে ৩.২৫ ডলার।
মাখনের দাম ৩.৭৮ ডলার থেকে প্রায় এক ডলার বেড়েছে।
এক ব্যাগ পটেটো চিপসের দাম এখন ৩.২৬ ডলার। অথচ ২০১৯ সালে ছিল ২.২৬ ডলার।
সিরিয়ালের দাম ২০১৯ সালে ছিল ৩.৩৬ ডলার। এখন তা আগের চেয়ে ১.১৪ ডলার বেশি দামি।
পাঁচ বছর আগে টয়লেট পেপার ছিল ৭.০৮ ডলার করে। এখন এর দাম ৯.৭৫ ডলার। 
আর ২০১৯ সালে ফ্রোজেন পিৎজ্জার দাম ছিল গড়ে ৩.৭৭ ডলার করে। এখন আপনাকে এর জন্য গুণতে হবে ৫.১৫ ডলার করে।
স্ট্রবেরি জ্যাম, পিনাট বাটারের দাম এক ডলারের বেশি করে বেড়েছে।
মুদ্রাস্ফীতি ২০২২ সালে ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯.১ ভাগে ওঠার পর এখন নেমে এলেও সার্বিকভাবে অনেক বেশিই রয়ে গেছে।
গত সপ্তাহে পারসোন্যাল কনজামশন এক্সেন্ডিচার্স ইনডেক্সে দেখা যায়, খাদ্য ও জ্বালানি মূল্য ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছে ০.৩ ভাগ এবং আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২.৮ ভাগ।
আর সর্বসাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুদিসামগ্রীর দাম ফেব্রুয়ারিতে আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ১ ভাগ।
আবার ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আগের বছরের তুলনায় মুদিসামগ্রীর দাম বেড়েছিল ১০.২ ভাগ।
ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিসটিক্স অনুযায়ী, গত তিন বছরে মুদিসামগ্রীর দাম বেড়েছে ২১ ভাগ।
ফেড চেয়ার জেরোম পাওয়ালে বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি বছর সুদের হার কমানোর কৌশলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফলে এর প্রভাব পড়বে নিত্যপণ্যের বাজারে। 
 

শেয়ার করুন: