
ছবি সংগৃহীত
নিউইয়র্ক সিটির অভিবাসন অফিসে ফাইলের স্তূপ এতই জমে গেছে যে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের আদালতে যাওয়ার তারিখ পেতে ২০৩৩ সালের মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানেই শেষ নয়, এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে তাদেরকে আরো চারটি বছর অপেক্ষা করতে হবে। ফলে অনেক অভিবাসীর মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টাই জনসন মঙ্গলবার কংগ্রেসনাল একটি প্যানেলের কাছে দাবি করেছেন যে, তিনি এই স্থবিরতা দূর করার জন্য কাজ করছেন। তিনি এ ব্যাপারে ভার্চুয়ালি কাজ করা এবং ইলেকট্রনিকভাবে অভিবাসীদের নথিপত্র জমা নেওয়ার কথা ভাবছেন।
তিনি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটাতে ৪৫ জন নতুন অ্যাজেন্টও চেয়েছেন কংগ্রেসনাল কমিটির কাছে।
এই স্থবিরতায় অনেক অভিবাসী হতাশ হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে যারা মনে করেন যে তাদের অ্যাসাইলাম দাবির সপক্ষে জোরাল প্রমাণ আছে, তাদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। তাদের পক্ষে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকাটা কঠিন মনে হচ্ছে।
এদিকে সঙ্কট কাটাতে সংস্থাটি ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন কর্মীদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
খবরে জানা গেছে, আদালতে যাওয়ার তারিখ ২০৩২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পুরোপুরি পূরণ হয়ে গেছে।
এদিকে ১১ মের পর যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তজুড়ে নতুন করে অভিবাসীদের ঢল নামতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই দিন বাইডেন প্রশাসন টাইটেল ৪২ পলিসি তুলে নেবে। এই নীতির ফলে কোভিড-১৯ মহামারির সময় অভিবাসীদের দ্রুত ডিপোর্ট করা সম্ভব হয়।