
ছবি: সংগৃহীত
ডজনখানেক ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেস সদস্য ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাদের প্রত্যেকে দাবি করেছেন যে গত দুই মাস ধরে ফেডারেল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন স্থাপনাগুলোতে নজরদারি চালানো থেকে তাদেরকে অবৈধভাবে বিরত রাখা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি পলিসি বিভাগ সাত দিনের অপেক্ষমাণ দিনের নিয়মের দোহাই দিচ্ছে এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট অ্যাজেন্সির তহবিল সংস্থানকারী ফেডারেল আইন লঙ্ঘন করে যেসব স্থাপনায় লোকজনকে আটক রাখা হয়েছে, সেখানে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
মামলাকারীরা হচ্ছেন কোলোরাডোর ইউএস রিপ জো নেগাস ও জ্যাসন ক্রো; নিউ ইয়র্কের অ্যাড্রিয়ানো ইসপাইলাট ও ড্যান গোল্ডম্যান; মিসিসিপির বেনি টম্পসন; ম্যারিল্যান্ডের জিমি রাসকিন; টেক্সাসের ভ্যারোনিকা এসকোবার; ক্যালিফোর্নিয়ার রবার্ট গারসিয়া, লো কোরিয়া, জিমি গোমেজ, রাউল রুইজ ও নরমা টোরেস। তারা মামলায় বলেছেন যে তারা ওভারসাইট ভিজিটের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ডিএইচএস তাদেরকে বাধা দিয়েছে।
মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন আইসিই, ডিএইচএস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টড লিয়ন্স। ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বাম ঘরানার অমুনাফামূলক সংগঠন ডেমোক্র্যাসি ফরোয়ার্ড ফাউন্ডেশন এবং আমেরিকান ওভারসাইট আইনপ্রণেতাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
এক বিবৃতিতে অন্যতম বাদি নেগাস বলেন, অভিবাসীদের আটক রাখা স্থাপনাগুলোতে ওভারসাইট ভিজিট থেকে কংগ্রেস সদস্যদের বিরত রাখা ফেডারেল আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং ট্রাম্প প্রশাসন তা জানে।
আইনপ্রণেতারা মামলায় বলেন, আটক ব্যক্তিদের সাথে ‘খারাপ আচরণ করা,’ ঘিঞ্জি পরিবেশ, বেশি বেশি লোককে রাখার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে তাদের ভিজিট খুবই দরকারি বিষয়।
তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং অনাগরিক- সবারই অধিকার রয়েছে। কেন্দ্রীয় তহবিল এসব কাজে ব্যবহৃত হয় বলে তাদের ওপর নজরদারি করার অধিকার রয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিএইচএসকে মন্তব্য করার অনুরোধ করা হলেও তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি।