
ফাইল ছবি
মাত্র দুই সপ্তাহে টার্গেটের স্টক ১৩.৮ বিলিয়ন ডলার লোকসান হয়েছে। প্রায় তিন বছরের মধ্যে এবারই তারা এমন ক্ষতির মুখে পড়েছে। এলজিবিটিকিউ-বান্ধব শিশুদের পোশাক নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে তাদেরকে বড় ধরনের লোকসা গুণতে হচ্ছে।
টানা আট সেসন মূল্যপতনের পর বুধবার কঠিন পরিস্থিতিতে থাকা চেইন শপটি ২.২ ভাগ দাম হারায়। উল্লেখ্য, কোম্পানিটির মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন হচ্ছে ৬০.৪ বিলিয়ন ডলার।
করোনা মহামারির সময় তথা ২০২০ সালের মধ্যভাগের পর তারা দ্রুত ক্ষতি কাটিয়ে ওঠছিল। কিন্তু এরপর এবারই তারা সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়ল।
বর্তমান ক্ষতির কারণ হলো ১৪ দিন ধরে চলমান বয়কট। ‘এক্সট্রা ক্রোচ কভারেজ’-সংবলিত ‘টাক-বান্ধব’ নারী সুইমওয়্যার এবং শিশুদের পোশাকসহ এলজিবিটিকিউ-বান্ধব ‘প্রাইড’ বাজারজাত করার পর থেকে বয়কটের মুখে পড়েছে টার্গেট।
ওয়াল স্ট্রিট আশঙ্কা করছে অ্যানহেসার-বুশের মতোই ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে টার্গেটকে। বিয়ার নিয়ে ট্রান্সজেন্ডার প্রভাবক ডিলান মুলভানির পরামর্শ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কোম্পানিটি ২৫ ভাগ মূল্য হারিয়েছিল।
অ্যাডওয়ার্ড জোনস বিশ্লেষক ব্রায়ান ইয়ারবোরো বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি তার মূল ক্রেতাদের গুরুত্ব না দেওয়ায় বিক্রি পতনের মুখে পড়েছে।’
‘প্রাইড’ কালেকশন বাজারজাত করার ঘোষণা দেওয়ার পর মাত্র ১৪ দিনের ব্যবধানে কোম্পানিটি ১২.৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়ে।
ইয়ারবোরো বলেন, টার্গেট আগামী ৯ থেকে ১২ মাস এই বিপর্যয়কর অবস্থায় থাকতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে টার্গেট জানিয়েছে, তারা তাদের ‘প্রাইড’ কালেকশনের আইটেমগুলো সরিয়ে নেবে।
অবশ্য টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ জানিয়েছেন, তার মনে হয় না বাড লাইটের মতো কঠিন অবস্থায় পড়বে টার্গেট। তার মতে, টার্গেটের বিকল্প তেমন কিছু নেই। এ কারণে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।