
ছবি: সংগৃহীত
সকাল ৮টা, টোকিও স্টেশন। শহরের কোলাহল পেছনে ফেলে আমি পা রাখলাম শিনকানসেনের (বুলেট ট্রেন) প্ল্যাটফর্মে। JR Chūō Line Limited Express Azusa আমাকে নিয়ে চলল সবুজ উপত্যকা আর পাহাড়ের দিকে।
যেখানে আছে আকাশছোঁয়া পাহাড়, ঘন জঙ্গল, প্রবাহমান নদী আর এরই মাঝে ছোট্ট উপত্যকা, যেখানে কুয়াশা ধীরে ধীরে নেমে আসে পাথরের বুকে। সেখানে অবস্থিত পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন হোটেল নিশিয়ামা ওনসেন কিওনকান। সময় যেখানে ঘড়িতে নয়, বয়ে চলে উষ্ণ জলের ধোঁয়ায়, কাঠের ফাঁক গলে আসা বাতাসে। ২০১১ সালে যেটি গিনেস বুক অব রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে।
ট্রেন ছুটে চলছে। জানালার বাইরে টোকিওর উঁচু ভবনগুলো ক্রমেই মিলিয়ে যাচ্ছে দ্রুত। জায়গা নিচ্ছে নদীর কলতান আর আঙুরের বাগান। দুই ঘণ্টা ত্রিশ মিনিট পর পৌঁছালাম কোফু স্টেশনে।
সকাল ১১টায় ট্রেন পাল্টিয়ে আবার JR Minobu Lineএ চেপে রওনা হলাম মিনোবু স্টেশনের দিকে। ধীরগতির এই ট্রেন যেন প্রকৃতির গল্প শোনাচ্ছিল। জানালার বাইরে গাছেদের সারি, ছোট ছোট মন্দির, আর দূরে ফুজির সাদা টুপির মতো শিখর। এক ঘণ্টা দশ মিনিট পরে পৌঁছালাম মিনোবু স্টেশনে।
এবার বাস যাত্রা।বিকাল ১২টা ৩০মিনিটে বাস ছাড়লো। গাইড নিকিতা শোনাচ্ছিলো হোটেলটির ইতিহাস।
৭০৫ সালের কথা, জাপানের সম্রাট তেনজির ঘনিষ্ঠ এক সহযোগীর একমাত্র সন্তান ছিলেন ফুজিওয়ারা মাহিতো। বাবার সঙ্গে রাজদরবারে তারও ছিল অবাধ যাওয়া-আসা। একদিন তিনি দেখলেন, পান্থশালায় বিশ্রাম নেওয়া কয়েকজন মুসাফির প্রকৃতির পানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বেশ জমিয়ে খোশ-গল্প করছেন। দেখে মনে হচ্ছে যেন এই মুহূর্তে পৃথিবীর সমস্ত সুখ এসে ভর করেছে তাদের হৃদয়ে। ভাবনার শৈল্পিক পালে হাওয়ার ঝাঁপটা লাগলো মাহিতোর। ভাবলেন, ভ্রমণপিপাসুদের জন্য ফুজি পর্বতের অদূরে সবুজ-লালে আচ্ছাদিত এরকম একটি পান্থশালা নির্মাণ করলে কেমন হয়?
একদিন সময় করে বাবার সঙ্গে আলোচনা করলেন এটি নিয়ে। বাবার সম্মতি পেয়ে একসময় নেওয়া হলো সম্রাটেরও অনুমতি। কিছুদিন পর দেখতে দেখতে সেখানে গড়ে ওঠলো মনোমুগ্ধকর ছোট্ট এক সরাইখানা। যেমনটা তিনি ভেবেছিলেন, প্রকৃতির মনোরম রূপ-লাবণ্যে মুগ্ধ ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে থাকলো ক্রমেই। ধীরে ধীরে জাপানের বিত্তশালী অভিজাত ব্যক্তিবর্গ, এমনকি সম্রাটেরও চরণধূলি পড়তে লাগলো এখানে। এভাবে একসময় ছোট্ট সরাইখানাটি হয়ে উঠলো লোকে লোকারণ্য।
সময় গড়িয়ে যায়, নতুনত্বের পানে ধেয়ে চলে জাপানের রাজপরিবারের রাজত্বের গল্প। তবুও সগৌরবে টিকে রয় নিশিয়ামা ওনসেন কিওনকান হোটেল। কিয়ান যুগে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এ হোটেলের একপাশ দিয়ে বয়ে চলা সুন্দরী নদী যেন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় হোটেলের মোহনীয়তা। অন্যপাশে দ-ায়মান আকাশছোঁয়া পাহাড়, ঘন জঙ্গল ও বন্য ঝোপঝাড় বিভিন্ন ঋতুতে পরিবর্তন আনে তাদের মোহনীয় রূপে। বাহারি রঙের বিকিরণে ঝলসে দেয় হোটেলে আগত পর্যটকদের চোখ ও হৃদয়।
আচমকা একদিন মৃত্যুর আহ্বানে সাড়া দিতে হলো হোটেলটির নির্মাতা ফুজিওয়ারা মাহিতোকে।ফলে প্রকৃতির নিয়মেই হোটেলের কর্ণধার হয় পরের প্রজন্ম। তখন থেকে এখন অবধি প্রায় ৫২ প্রজন্মের হাতে পরিবর্তিত হয়েছে হোটেলের কার্যভার। এভাবে এখনো চলমান রয়েছে ঐতিহ্যের ধারক এই হোটেলের পরিচালনার কাজ।
টোকুগাওয়া শোগুন পরিবারের বিখ্যাত নেতা থেকে শুরু করে সম্রাট নারুহিতো পর্যন্ত অনেকেই এখানে পানিতে ভিজতে ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছেন।
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বিশ্বের প্রাচীনতম হোটেল হিসেবে নিশিয়ামা ওনসেন কিওনকানকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে এর খ্যাতি পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এই স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীর তালিকার অন্যতম শীর্ষে এই হোটেলটির স্থান। এখনো হোটেলটি ১৩০০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখে পর্যটকদের সেবা দিচ্ছে। ফুজিওয়ারা মাহিতোর মৃত্যুর পর প্রায় ৫২ প্রজন্ম ধরে এই হোটেলের কার্যভার পরিবর্তিত হয়েছে। এত দিনেও ঐতিহ্যের ধারক হোটেলটি এর মূল রূপ ধরে রেখেছে। নতুন প্রজন্মের হাতে ক্ষমতা আসার সঙ্গে সঙ্গে হোটেলে বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হওয়ায় এখন পর্যন্ত তিনবার মূল ভবন পরিবর্তন করা হয়েছে।
পাহাড়ী আঁকাবাঁকা রাস্তা, একপাশে পাহাড়ের গা থেকে ঝরে পড়া ঝরনা, অন্য পাশে সবুজ উপত্যকা। প্রতিটি বাঁক যেন কবিতার ছন্দ।মুগ্ধ হয়ে নিকিতার গল্প শুনছিলাম।প্রায় পঞ্চাশ মিনিট পরে হাজির হলাম ইতিহাসের রোমাঞ্চকর পাতায় জায়গা করে নেয়া পৃথিবীর প্রাচীনতম হোটেল নিশিয়ামা অনসেন কেইউনকানের সামনে।পাহাড়ের কোলে, কুয়াশার নরম পর্দার আড়ালে নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে আছে নিশিয়ামা ওনসেন, পৃথিবীর প্রাচীনতম হোটেল। সময় এখানে ঘড়িতে নয়, বয়ে চলে উষ্ণ জলের ধোঁয়ায়, কাঠের ফাঁক গলে আসা বাতাসে। শরীর রোমান্চিত হচ্ছিলো।এই সেই বিশ্বের প্রাচীনতম হোটেল। এর কাঠের দেয়াল আর পুরোনো ছাদের নিচে লুকিয়ে আছে তেরো শতকেরও বেশি ইতিহাস। এ যেন কেবল এক হোটেল নয় বরং সময়ের এক প্রাচীন আশ্রয়স্থল।এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজপরিবার থেকে কবি, পর্যটক থেকে সাধক—সবাই এখানে আশ্রয় নিয়েছেন শান্তির অনন্ত উৎসে। আজ আমি এসেছি সেখানেই, এক রাতের জন্য সময়ের পিঠে চড়ে।
হোটেলের প্রবেশদ্বারে পৌঁছুতেই আমাদের অভ্যর্থনা জানালো হাস্যোজ্জ্বল স্টাফরা। জাপানি প্রথা অনুযায়ী মাথা নুইয়ে স্বাগত জানালো। হাত মুছে নেওয়ার জন্য ট্রেতে করে এগিয়ে দিলো ধবধবে সাদা কাপড়। তারপর একটি কাঠের কাউন্টারে বসে চেক-ইন করানো। রিসেপশন হলের বাতাসে ছিলো কাঠের সুবাস, ইতিহাসের ছোঁয়া।
হোটেলের সাজসজ্জা নজর কাড়ছিলো
পুরোনো কাঠের নকশা, ঝলমলে লণ্ঠন এবং সোনালী ফ্রেমের ছবি দিয়ে সজ্জিত দেয়াল। কিন্তু এত পুরনো হলেও ঝরঝরে পরিচ্ছন্নতা যেন হোটেলের প্রতিটি কোণে অনন্য শান্তি ছড়াচ্ছে। করিডোরে হেঁটে যাওয়ার সময় মনে হচ্ছিলো একেকটি ঘর যেন সময়ের ক্যানভাসে আঁকা ছবি।
আমার জন্য নির্ধারিত রুমে প্রবেশ করতেই অনুভব করলাম—প্রাচীন কাঠের মেঝে, তাটামি ম্যাট, এবং শোজি দরজা যেগুলো হালকা বাতাসে নরম শব্দে নড়ছে। জানালার বাইরে পাহাড়ের কুয়াশা আর নদীর কলকল শুনতে পাচ্ছিলাম।ছোট ছোট ঐতিহ্যবাহী আলংকারিক জিনিস, যেমন দোয়েল দিয়ে বোনা চায়ের সেট, আর হালকা আলোয় ঝলমল করা লণ্ঠন—সব মিলিয়ে যেন এক শান্তিপূর্ণ ও বিমোহিত পরিবেশ।
সন্ধ্যা নামতেই আমি অনসেনের(উষ্ম প্রস্রবন) গরম জলে ডুব দিলাম। গরম পানির স্রোত যেন শরীর থেকে ক্লান্তি ধুয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। আকাশজুড়ে হাজার তারা, চারপাশে পাহাড়ের গম্ভীর নিস্তব্ধতায় আমি যেন একাকী নই, আমার সাথে আছে শত শত বছর ধরে এখানে অবস্থান করা অতিথিদের স্মৃতি।
রাতে পরিবেশিত হলো জাপানের ঐতিহ্যবাহী খাবার কাইসেকি রিওরি—প্রতিটি পদ যেন একেকটি শিল্পকর্ম। স্থানীয় পাহাড়ি সবজি, নদীর তাজা মাছ, আর সূক্ষ্ম হাতে সাজানো খাবার টেবিলে বসে আমি অনুভব করলাম, এখানে কেবল পেট ভরে না, হৃদয়ও পূর্ণ হয়।
রাতের খাবারের পর কথা বলছিলাম রুম এটেনডেন্টের সাথে। তিনি পাশের গ্রামেই বসবাস করেন। প্রায় ৩৪ বছর ধরে কাজ করেন এখানে। তিনি জানান, হোটেলটিতে ৩৭টি কক্ষ জাপানের ঐতিহ্যবাহী গৃহশৈলীতে সজ্জিত। যেখানে প্রতিটি কক্ষে জাপানের তাতামি মাদুর বিছানো। এ ছাড়া রয়েছে জাপানিজ খাবারের জন্য কাইসেকি রেস্টুরেন্টে এবং পাহাড় থেকে চাঁদ দেখার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গাও রয়েছে। এখন এখানে আরও বেশ কয়েকটি আধুনিক উষ্ণ পানির পুল তৈরি করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য, যেখান প্রতি মিনিটে এক হাজার লিটার প্রাকৃতিক গরম পানি সরবরাহ করা হয়।কয়েক বছর আগে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে প্রতি ঘরেই আলাদা করে উষ্ণ প্রস্রবণের জলের যোগান দেওয়া যায়। যাতে অতিথিরা ‘হট স্প্রিং বাথ’-এর সুবিধে নিতে পারেন নিজেদের ঘরে থেকেই।
২০১৯ সাল থেকে হোটেলের সব জায়গায় বিনা মূল্যে ওয়াই-ফাই সুবিধা রয়েছে। হোটেলের কর্মচারীরা জাপানের ঐতিহ্যবাহী পোশাক নিবু-শিকি কিমোনো পরে অতিথিদের সেবা দেন। এই হোটেলে অবস্থানরত অতিথির জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো, হোটেলের পাশে অবস্থিত জাপানের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট ফুজি।
পর দিন সকালে কুয়াশা ভেজা পাহাড়ি বাতাসে চোখ খুলতেই মনে হলো আমি যেন জাপানের অতীতের বুকে শুয়ে আছি। চারদিকে পাখির ডাক, পাইনগাছের ঘ্রাণ, আর অনসেনের ধোঁয়া মিলেমিশে তৈরি করছিল এক অমর কাব্যের পংক্তি।কাঠের পুরোনো গন্ধে ভরা এই হোটেলটি যেন সময়ের কণ্ঠে কথা বলছিলো।
এই হোটেলে রাত কাটানোর পর মনে হলো, আমি কেবল একজন অতিথি নই—বরং ১৩০০ বছরের ইতিহাসের সঙ্গে অবস্হান করা এক ভ্রমণকারী।
বিদায় নেওয়ার মুহূর্তে কেইউনকানের বারান্দায় দাঁড়িয়ে রইলাম কিছুক্ষণ। কাঠের পুরোনো দেয়ালে হাত রেখে যেন সময়ের ধুলো স্পর্শ করলাম। আতিথেয়তামাখা হাসি নিয়ে রিসেপশনের কর্মীরা মাথা ঝুঁকিয়ে বিদায় জানালেন। তাদের বিনম্র দৃষ্টি যেন বলল, “আবার ফিরে আসবেন।”
পাহাড়ের ভেতর দিয়ে নামতে নামতে নদীর কলকল শব্দ আর উষ্ণ অনসেনের বাষ্প যেন আমাকে অনুসরণ করছিল। মনে হলো, এই হোটেল কেবল এক রাতের থাকার জায়গা নয়, বরং ইতিহাসের বুকে লেখা এক জীবন্ত কবিতা যেখানে আমি কিছুক্ষণ অতিথি হয়ে ছিলাম।
যখন টোকিও ফেরার পথে আবার পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি ছুটল, তখন আমার মনে হচ্ছিল—আমি কেবল একটি হোটেল থেকে ফিরছি না, বরং সময়ের গহ্বর থেকে উঠে আসা এক চিরন্তন অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি।
ট্রেন ছুটে চলছে টোকিওর দিকে। মনে হচ্ছিলো জানালা দিয়ে দূরে মিলিয়ে যেতে থাকা পাহাড়গুলো ফিসফিস করে বলছি “সময়ের স্রোত বয়ে যাবে, কিন্তু কেইউনকানে কাটানো সেই রাতের স্মৃতি রয়ে যাবে চিরকাল।
আমার কাছে মনে হচ্ছিলো এই দুই দিনের যাত্রা কেবল একটি হোটেলে থাকা নয়, বরং সময়ের বুকে লেখা ইতিহাসে ডুব দেওয়া। কেইউনকানের ১৩০০ বছরের গল্পে আমি যেন এখনো তার ইতিহাসের অংশ হয়ে আছি।
সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের বাসে রওনা দিলাম আবার মিনোবু স্টেশনের দিকে। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তায় যেন বিদায়ের সুর বাজছিল।
পঞ্চাশ মিনিট পরে পৌঁছালাম স্টেশনে।
দুপুর ১২টায় মিনোবু থেকে স্থানীয় ট্রেনে কোফুতে ফেরত এলাম। পথে ফুজি পাহাড় আবারো বিদায় জানালো সাদা হাসি দিয়ে।
দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে কোফু থেকে JR Chūō Line Limited Express ধরে আবার টোকিও।
প্রায় দুই ঘণ্টা ত্রিশ মিনিটের যাত্রা শেষে বিকাল ৪টার দিকে টোকিও স্টেশনে ফিরলাম। মনে হচ্ছিলো এই দুই দিনের যাত্রা কেবল এক হোটেলে থাকা নয়, বরং সময়ের বুকে লেখা ইতিহাসে ডুব দেওয়া। ইতিহাসকে ছুঁয়ে ফেরা।এক প্রাচীন রাজ্েযর মুকুটে ক্ষনিকের অতিথি হয়ে থাকা।হাজার বছরের রাজকীয় ঐতিহ্য নিঃশব্দে শ্বাস নেয় যেখানে। পাথরের উপর বয়ে চলা উষ্ণ জলের ধোঁয়া, কাঠের সুবাস আর নিখুঁত আতিথেয়তা সব মিলিয়ে মনে হচ্ছিলো আমি যেন কোনো সম্রাটের অতিথিশালা থেকে ফিরছি।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও ভ্রমণপিয়াসু ব্যক্তিত্ব, ০৫ অক্টোবর,২০২৫ সাল।