শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

বোর্ড অব ইমিগ্রেশন আপিলের তিন বিচারকের প্যানেলের রায় 

মুচলেকায় মুক্তি মিলবে না অনেক অভিবাসীর

নবযুগ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:১৯, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মুচলেকায় মুক্তি মিলবে না অনেক অভিবাসীর

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশকারী যেসব ব্যক্তি ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, তাদেরকে মুচলেকায় মুক্তি দেওয়া যাবে না বলে বোর্ড অব ইমিগ্রেশন আপিলের তিন বিচারকের প্যানেল রায় দিয়েছে। এর ফলে লাখ লাখ ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলকভাবে আটক থাকতে হবে।

অভিবাসী আইনজীবীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন যে এই রায় ফেডারেল আদালতের রায়ের সাথে সাংঘর্ষিক। তারা বলছেন, এর ফলে মামলায় জর্জরিত আদালতে তাদের মামলাগুলো ঝুলতে থাকার সময় তাদেরকে আটক থাকতেই হবে এবং তাদের মামলা ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েও যেতে পারবে না। ট্রাকশনের ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি মো গোল্ডম্যান বলেন, ‘এই গণ ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের নেওয়া অনেক পদক্ষেপের একটি হলো এই রায়। তারা যে কাজটি করতে চাচ্ছে, এটি সেই ব্যবস্থারই একটি অংশ।’
তিনি বলেন, যাদের নিজেদের রক্ষা করার মতো পর্যাপ্ত সম্পদ নেই, এই রায়ের ফলে তারা মারাত্মক বিপদে পড়বে। এছাড়া করদাতাদের বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থও আটক ব্যক্তিদের পেছনে ব্যয় হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, অভিবাসীদের আটক করার জন্য আইসিই আগামী চার বছরে ৪৫ বিলিয়ন ডলার পাবে। আর এর ফলে অ্যাজেন্সিটি লোকজনকে আটক করার সক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাড়বে। তারা দেশজুড়ে পরিত্যক্ত কারাগারগুলো নতুন করে চালু করবে।
গত আগস্টে সংস্থাটি জানিয়েছিল, তাদের হেফাজতে ৬১,২২৬ জন আটক রয়েছে। আর আটকদের ৭০ ভাগেরও বেশি লোকে কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই। আবার অনেকে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের মতো একেবারেই ছোটখাট অপরাধ করেছে।
এ ব্যাপারে গোল্ডম্যান বলেন, এই রায়ের মূল যুক্তিটি ইতোপূর্বে ফেডারেল আদালত খারিজ করে দিয়েছিল। আশরা করা যায়, এবার আপিল করা হলেও তেমন রায়ই পাওয়া যাবে।
অবশ্য, এবার আদালত ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন কার্যক্রমের পক্ষে রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এক তথ্যে জানা গেছে, গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৮,৯৭৩ জনের বন্ড হেয়ারিং হয়েছিল। এর মধ্যে মাত্র প্রায় ২২ শতাংশের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছিল। অভিবাসীরা জামিনের জন্য গড়ে ছয় হাজার ডলার করে ব্যয় করার পরিকল্পনা করে। অথচ বন্ড হতে পারে ১০ হাজার ডলারও।
 

শেয়ার করুন: