ছবি: সংগৃহীত
আইনগত অভিবাসন সুবিধার জন্য আবেদনকারীদের সামাজিক মাধ্যম ( ফেসবুক, ইনস্টগ্রাম, টুইটার খতিয়ে দেখছে মার্কিন সরকার। একজন শীর্ষ অভিবাসন কর্মকর্তা সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন, ‘আমেরিকা-বিরোধী’ কার্যকলাপ এবং ‘অত্যন্ত আপত্তিকর’ মনোভাব খুঁজে বের করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই তদন্ত চলছে। ফেডারেল সংস্থা ইউ.এস. সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের পরিচালক জোসেফ এডলো বলেন, এই যাচাই প্রক্রিয়ায় মূলত গ্রিন কার্ড এবং অন্যান্য অভিবাসন আবেদনের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তিদের ‘সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রিনিং’-এর উপর নির্ভর করা হয়।
গত আগস্টে ট্রাম্প প্রশাসন একটি নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে ইউএসসিআইএস কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়, নির্দিষ্ট আবেদনকারীদের মধ্যে ‘আমেরিকা-বিরোধী’ মনোভাব ও কার্যকলাপ চিহ্নিত করাকে একটি ‘অত্যন্ত নেতিবাচক কারণ’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে, যা তাদের আবেদন বাতিল করার জন্য যথেষ্ট হতে পারে।
তার সংস্থা কোন ধরনের মনোভাব ও কার্যকলাপকে ‘আমেরিকা-বিরোধী’ বলে মনে করতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে এডলো বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে যা ঘটতে দেখেছি।’
মেরিল্যান্ডে ইউএসসিআইএস সদর দফতরে সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এডলো বলেন, ‘বিদেশি সন্ত্রাসী আদর্শের, তা হামাস বা অন্য কোনো সংস্থারই হোক না কেন, এত বড় আকারের সমর্থন দেখা গেছে, যার সাথে... এই গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে তাদের চারপাশের অন্যান্য মানুষের অধিকার পায়ের নিচে পিষে ফেলার স্পষ্ট আকাঙ্ক্ষা মিলে গেছে।’
এই ধরনের সিদ্ধান্তগুলি মার্কিন সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত বাকস্বাধীনতার উপর ভিত্তি করে নেওয়া হতে পারে কিনা, এমন চাপযুক্ত প্রশ্নে এডলো উত্তর দেন : ‘একেবারেই নয়।’
‘আমেরিকা-বিরোধী’ কার্যকলাপের সংজ্ঞা
জোসেফ এডলো বলেন, ‘লোকজন সামাজিক মাধ্যমে বা অন্য যেকোনো জায়গায় তাদের ইচ্ছেমতো মন্তব্য করার স্বাধীনতা রাখে। এবং যারা, ধরুন, আমি যে প্রার্থীর সমর্থন করি, তাকে সমর্থন করি না। আমরা কিন্তু সেই বিষয়ে কথা বলছি না।’
এডলো আরো বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আপত্তিকর বিষয় নিয়ে কথা বলছি। আমরা তাদের কথা বলছি, যারা সক্রিয়ভাবে এই দেশকে সহিংসভাবে উৎখাত করার সমর্থন করছে, অথবা যারা বিশ্বের বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনকে বস্তুগত সহায়তা প্রদান করছে।’
এডলো জানান যে, ‘আমেরিকা-বিরোধী”’ মনোভাব ও কার্যকলাপের এই তদন্ত আবেদন মঞ্জুর বা প্রত্যাখ্যানের একমাত্র মানদ- হবে না।
তিনি বলেন, ‘এটি কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকারী বিষয় নয়। এটি একমাত্র কারণও নয়, তবে আমরা নিশ্চিত হতে চাই যে আমরা এই একটি কারণকে পুরোপুরি বুঝতে পারছি।’
ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন, প্রশাসন আইনগতভাবে সুরক্ষিত বাকস্বাধীনতার জন্য অ-নাগরিকদের শাস্তি দিতে মার্কিন অভিবাসন আইনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।















