
ছবি: সংগৃহীত
পূর্বাভাস অনুযায়ীই মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি কার্যকর হওয়ার পর দ্রব্যমূল্য যে হারে বাড়বে বলে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছিল, সে তুলনায় ‘কোর ইনফ্ল্যাশেন’ কম হয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, কনজিউমার প্রাইজ ইনডেক্স মে মাসে বেড়েছে ২.৪ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা এমনই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। আর ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিসটিক্স জানিয়েছে, এই মুদ্রাস্ফীতি এপ্রিলের ২.৩ শতাংশ থেকে সামান্য বেশি।
অন্যদিকে পরিবর্তনশীল খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য বাদ দিয়ে করা কোর ইনফ্ল্যাশন ছিল আগের মাসের মতোই ২.৮ শতাংশ এবং তা ২.৯ শতাংশ বাড়বে বলে যে ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে কম।
মাসের হিসাবে কোর ইনফ্ল্যাশন ছিল মাত্র ০.১ শতাংশ। অথচ তা ০.৩ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
রিগ্যান ক্যাপিটালে প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা স্কাইলার ওয়েনান্ড বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির ফলে সেপ্টেম্বরে ফেড চাইলে রেট কমাতে পারে। ইতোমধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গেছে যে মুদ্রাস্ফীতি সঠিক দিকেই পরিচালিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সুদের হার কমানোর জন্য অব্যাহতভাবে ফেড চেয়ার জেরোমি পাওয়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন।
গাড়ি ও পোশাকের দাম কমায় মুদ্রাস্ফীতিতে ইতিবাচক সাফল্য পাওয়া গেছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এক মাস আগের তুলনায় নতুন গাড়ির দাম কমেছে ০.৩ শতাংশ হারে এবং পুরনো গাড়ি ও ট্রাকের দাম কমেছে ০.৫ শতাংশ। আর পোশাকের দাম কমেছে ০.৪ শতাংশ। এছাড়া গ্যাসোলিনের দাম কমায় জ্বালানিতে মুদ্রাস্ফীতি কমেছে ১ শতাংশ।
এদিকে অ্যাভিয়ান ফ্লুর দাপট কমতে থাকায় ডিমের দাম কমেছে ২.৭ শতাংশ। অবশ্য তা সত্ত্বেও এক বছর আগের তুলনায় ডিমের দাম বেশি রয়েছে ৪১.৫ শতাংশ।