
ছবি: সংগৃহীত
বিচারকের অদ্ভূত রায়ের ফলে নাসাউ কাউন্টিকে অবৈধ রেড-লাইট ক্যামেরা ফি বাবদ আদায় করা ৪০০ মিলিয়ন ডলার ফেরত দিতে হবে না। কারণ এক বিচারপতি অদ্ভূতভাবে রায় দিয়েছেন যে চালকরা স্বেচ্ছায় ওই জরিমানা পরিশোধ করেছেন, যদিও তাদেরকে লাইসেন্স স্থগিত করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
কাউন্টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি টমাস রাদেমেকারের এই রায়কে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করে বাদির আইনজীবী তাকে মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে লাভ হয়েছে নাসাউ কাউন্টি প্রশাসকদের। তারা এক দশকের বেশি সময় ধরে চালকদের কাছ থেকে নেওয়া অবৈধ প্রশাসনিক ফি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
নাসাউ ও সাফোক কাউন্টির বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোতে চালকদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী ডেভিড রাইমন্ডো এই রায়ের ব্যাপারে বলেন, ‘বিচারপতি রাদেমেকার একটি চরম সিদ্ধান্ত জারি করেছেন, রায় দিয়েছেন যে নাসাউ কাউন্টি বেআইনি কাজ করা সত্ত্বেও এর নাগরিকরা স্বেচ্ছায় অর্থ প্রদান করেছে।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, নাসাউ কাউন্টি যখন লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার, গাড়ি আটক করার এবং টেনে নিয়ে যাওয়ার এবং এমনকি ফি পরিশোধ না করলে ক্রেডিট রিপোর্টে দাগ পড়ার হুমকি দিয়েছিল, তখন বিচারক কিভাবে অর্থপ্রদানকে ‘স্বেচ্ছামূলক’ হিসেবে দেখতে পারেন?
তিনি কাউন্টির অর্থ আদায়কে ‘অর্থনৈতিক জবরদস্তি’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, চালকদের এটা পরিশোধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় রাখা হয়নি।
এই মামলা প্রথম দায়ের করা হয় ২০১৬ সালে। ওই সময় নাসাউ ও সাফোক উভয় কাউন্টির রেড-লাইট ক্যামেরা কর্মসূচি থেকে অবৈধভাবে আদায় করা শত শত ডলার পুনরুদ্ধার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
নাসাউতে ২০০৯ সাল থেকে রেড-লাইট ক্যামেরা টিকিটের শিকার হওয়া চালকদের ইন্টারসেকশন লঙ্ঘনের জন্য মূল ৫০ ডলার জরিমানার পাশাপাশি অতিরিক্ত ১০০ ডলার দিতে হতো ‘ড্রাইভার রেসপন্সিবিলিটি’ ফি হিসেবে। সাফোকে প্রশাসনিক ফি ছিল ৩০ ডলার করে।
কিন্তু ১০ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর গত নভেম্বরে রাজ্যের আপিল বিভাগ রায় দেয় যে এই অতিরিক্ত ফি ছিল অবৈধ। কারণ, তা জরিমানার সর্বোচ্চ মাত্রা ৫০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। রায়ে এর পর থেকে টিকিট জারি বন্ধ করা হয়।
সর্বশেষ রায়ের ব্যাপারে নাসাউ কাউন্টির কার্যনির্বাহী ব্রুস ব্লেকম্যান মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।