মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

 পিপল আপের ডেমোক্র্যাট  প্রাইমারির ক্যাম্পেইনে সাড়া

নিউইয়র্ক

প্রকাশিত: ১৬:১২, ২১ জুন ২০২৪

 পিপল আপের ডেমোক্র্যাট  প্রাইমারির ক্যাম্পেইনে সাড়া

ছবি - নবযুগ

শিক্ষা-স্বাস্থ্য আবাসন কিংবা কর্মসংস্থান, সবক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বসবাসরত বাংলাদেশি, সাউথ এশিয়ান তথা সকল কমিউনিটির অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেস পিপল আপ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ। তার মতে, মার্কিন সরকার দেশে, প্রবেশাধিকার সহজীকরণ করলেও বিপুল জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি।  

গত ১৪ জুন শুক্রবার, নিউইয়র্কে বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটিতে তাদের ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতন করতে  জ্যাকসন হাইটস ডাইভার্সিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয় ডেমোক্রেট ইলেকশন সমাবেশ। পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেস পিপল আপ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদের আহ্বানে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি মেম্বার জেসিকা গঞ্জালেজ রোহাস, অ্যাসেম্বলি মেম্বার স্টিভেন রাগা, কাউন্সিল মেম্বার শেখর কৃষ্ণানসহ বেশ কয়েকজন ডেমোক্রেট প্রার্থী। এছাড়া, এই আয়োজনে স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদের সমর্থনে নিউইয়র্কের বিভিন্ন এলাকা থেকে ডেমোক্রেট সমর্থকরা উপস্থিত হন। উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটির সকল সাংবাদিক, সম্পাদক ও গণমাধ্যম কর্মীরা।নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটিকে ডেমোক্র্যটিক পার্টিকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান

ড. স্যার আবু জাফর মাহমুদ। সমাবেশে, আমেরিকার স্বার্থ সুরক্ষার সর্বোচ্চ অবদানের ধারাবাহিকতায় আগামী নির্বাচনে ডেমোক্রাটদের পক্ষে গণজাগরণের কথা তুলে ধরেন তিনি। তুলে ধরেন পিপল আপের অভিযানের নানা দিকও। বলেন, আমেরিকায় যত মানুষ বসবাস করেন তারা নিবন্ধিত হোক বা  নিবন্ধন বহির্ভূত হোক, সবার স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হবে। তাদের সবাইকে হেলথ কেয়ার সার্ভিস দিতে হবে। তিনি বলেন, যাদের আমেরিকায় প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়েছে, তাদের বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আবু জাফর বলেন, আমেরিকায় যারা বসবাস করেন তারা  প্রত্যেকে পরিশ্রম করে এ দেশ নির্মাণ করেন। যারা আন-ডকুমেন্টেড, যাদের টাকা পয়সা নাই তাদের কম টাকা পারিশ্রমিক দেয়, এই সুযোগ সুবিধা নিয়ে আমেরিকা গড়ার সুযোগ হাতিয়ে নিচ্ছে। এদের বৈধতা দিতে হবে, এদের নাগরিক হওয়ার সুযোগ দিতে হবে । তাদের কাগজপত্র দিতে হবে স্থায়ী বসবাসের জন্য।
স্যার আবু জাফর মাহমুদ বলেন, আমাদের ছাত্র-ছাত্রী-শিক্ষার্থী যারা তারা গবেষণা করবে, ওদেরকে স্বাধীনতা দিতে হবে, স্বাধীন মতামতের সুযোগ দিতে হবে। তাদের গ্রেফতার করা চলবে না। তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা চলবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমেরিকায় যেসব শিক্ষার্থী আসে তারা সবাই মেধার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আসে। তাদেরকে এদেশে পড়াশোনা শেষ করে এদেশ থেকে পাঠিয়ে না দিয়ে এদেশে থাকার ব্যবস্থাটি নিশ্চিত করতে হবে। নাগরিকত্ব দিতে হবে। তাহলে তাদের মাধ্যমে আমেরিকাও লাভবান হবে।   
ড. আবু জাফর জানান, এ দেশে মানুষ আছে, মানুষ আসে, বিভিন্ন জাতি থেকে এসেছে। তারা যাতে সহজভাবে যাবে জীবন চালাতে পারে সেভাবে আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এরই মধ্যে সরকার বাড়ির দাম বাড়িয়েছে, বাড়ি ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ছাত্র- ছাত্রীদের মধ্যে এবং প্রতিটি রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেশপ্রেম বাড়াতে হবে।  প্রতিটি জনগণের দেশপ্রেম বাড়াতে হবে, দায়িত্ববোধ বাড়াতে হবে। আমরা আমাদের সন্তানদের প্রথম শ্রেনীর দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এখানে অবাধে ক্ষতিকর মাদক বিক্রি হচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করার জন্য সুযোগ দেয়া হচ্ছে সুতরাং এ মাদক আর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েদের চাকরি দিতে হবে। এদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার থাকতে হবে। ছোট খাট ব্যবসা যারা করছে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যারা তাদের রাষ্ট্র থেকে তহবিল দিতে হবে। বলেন, আমরা সবাই ডেমোক্র্যাট, আমাদের ডেমোক্রেটদের সমর্থন করতে হবে।
 

শেয়ার করুন: