শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি বাংলাদেশে নেই: বাণিজ্য সচিব

ঢাকা অফিস

প্রকাশিত: ২২:২০, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি বাংলাদেশে নেই: বাণিজ্য সচিব

ফাইল ছবি

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশে নেই। আর নতুন মার্কিন শ্রমনীতি নিয়ে কোনো চাপ অনুভব করছি না। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। 

বাণিজ্য সচিব বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো সুযোগ পাই না। তাই নতুন মার্কিন শ্রমনীতি নিয়ে কোনো চাপ অনুভব করছি না। ইতোমধ্যে আমাদের অনেক অর্জন হয়েছে। আমার যতটুকু জ্ঞান আছে-বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিধান ডব্লিউটিও’র (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা) আইনে নেই। 

কিন্তু কোনো যদি অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা দেয়, সেই সুবিধা বাতিল করতে পারে। তবে সেটা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী করতে হবে। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এরপর কোনো দেশ যথা নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আগামী সপ্তাহে দেশের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে বৈঠক করবে সরকার।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র্রের উদ্বেগের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের শ্রমনীতি বৈশ্বিক ইস্যু। যারা ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে কাজ করেন, তাদের বিরুদ্ধে যেন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, সেই চেষ্টা থাকতে হবে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। 

সিনিয়র সচিব বলেন, আমাদের মোট রপ্তানির মাত্র ১৭ শতাংশ হয় যুক্তরাষ্ট্রে। আর ইউরোপে রপ্তানি হয় ৫৫ থেকে ৬০ ভাগ। যথেষ্ট শুল্ক দিয়েই আমরা আমেরিকায় পোশাক পাঠাই। আমরাও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে চাই। তবে রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার পেছনে ইউরোপের মন্দাভাব কিছুটা দায়ী বলে মনে করেন তপন কান্তি ঘোষ।

গত ১৬ নভেম্বর প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি বলেন, যারা ইউনিয়ন নেতা, শ্রমিক অধিকার রক্ষাকারী এবং শ্রমিক সংগঠনকে আক্রমণ করে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যবিষয়ক জরিমানা ও ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

ইতোমধ্যে শ্রমমান ও শ্রমিক অধিকার বিষয়ে মার্কিন নতুন নীতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস। 

চিঠিতে বলা হয়, শ্রম পরিবেশ আর শ্রমিক অধিকার রক্ষার ইস্যু বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ নীতি বাংলাদেশকে লক্ষ্য বানানোর শঙ্কা রয়েছে।

শেয়ার করুন: