
ফাইল ছবি
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণীর শিল্পকর্ম সংরক্ষণ ও চৌর্যবৃত্তি বন্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী কিভাবে আত্মপ্রকাশ করেছেন সেটা সবাই জানেন।
১৯৯৯ সালে আমরা তার সম্মানে জাতীয় জাদুঘরে একটা নাগরিক সম্বর্ধনার আয়োজন করেছিলাম। সেইখানে তিনি প্রথম প্রকাশ করেছিলেন একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দ্বারা কিভাবে নির্যাতিত হয়েছেন এবং তার চেয়েও বড় কথা যে এই পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে সামাজিকভাবে, পারিবারিকভাবে কিভাবে তিনি প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত হয়েছেন সেটিও বর্ণনা করেছিলেন। সেখানে সেক্টর কমান্ডাররা, মুক্তিযুদ্ধ অধিনায়করা ছিলেন, মন্ত্রী ছিলেন। তারাসহ উপস্থিত সকলেই অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি।
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর শিল্পকর্ম চৌর্যবৃত্তি প্রসঙ্গে শাহরিয়ার কবির বলেন, শাশ্বতী যে কথাটা বলেছেন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, এই তথাকথিত ভাস্কর (রাশা) সম্পর্কে আমরা তদন্ত করে দেখেছি। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল করতেন এবং সম্প্রতি যুদ্ধাপরাধী গণহত্যাকারী দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর তিনি শোক প্রকাশও করেছেন তার ফেসবুকে। তো যাই হোক সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু এখানে মূলত চৌর্যবৃত্তি নিয়ে কথা, এখানে কিছু ছবি দেওয়া হয়েছে। এরকম অনেক ছবি আছে। একগাদা ছবি ফুলেশ্বরী নিয়ে এসেছিল। কিন্তু দেখা হবে না বলে আমরা কয়েকটা নমুনা দিয়েছি। ফেরদৌসীর মূল কাজ কোনটা? এবং কিভাবে কপি করা হয়েছে সেটা আমরা দেখেছি, এটি নিন্দনীয়।