মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধ, ভারতে যাচ্ছে ৪ হাজার টন

ঢাকা অফিস

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধ, ভারতে যাচ্ছে ৪ হাজার টন

ফাইল ছবি

প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। আগামী ৩ অক্টোবর থেকে পূণরায় আহরণ ও বিপণন করা যাবে জাতীয় মাছ ইলিশ।

এদিকে প্রতিবারের মতো এবারও দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে যাচ্ছে প্রায় চার হাজার টন ইলিশ। বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। শতাধিক আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

রপ্তানিতে সাতটি শর্ত মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেগুলো হলো- রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ বিধিবিধান অনুসরণ, শুল্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রপ্তানির অনুমতিপ্রাপ্ত পণ্যের যথাযথভাবে কায়িক পরীক্ষা এবং প্রতিটি চালান জাতীয়করণ শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত সব কাগজপত্র [email protected] ঠিকানায় ইমেইল করতে হবে। অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি রপ্তানি না করার শর্তও দেওয়া হয়। 

এতে আরও বলা হয়, প্রতিটি পণ্যচালান রপ্তানির সময় শুল্ক কর্তৃপক্ষ অটোমেটিক সিস্টেম ফর কাস্টম ডেটা (এএসওয়াইসিইউডিএ) ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পরীক্ষা করে অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত পণ্য রপ্তানি না করার বিষয়টি নিশ্চিত হবেন। এ অনুমতির মেয়াদ ২০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহনের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে। সরকার প্রয়োজনে যে কোনো ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করতে পারবে। এ অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয়, অনুমোদিত রপ্তানিকারক ছাড়া সাব-কন্ট্রাক্ট রপ্তানি করা যাবে না।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১ সেপ্টেম্বর কলকাতা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে আবেদন করে। এতে পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানান সেখানকার ব্যবসায়ীরা। পরে ৪ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছায়।

গত বছর পূজার সময় ২ হাজার ৯০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৩০০ টন। আগের বছরগুলোতেও একই পরিস্থিতি হয়েছিল। অনুমোদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম।

এর আগে বৃস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছিলেন, এবারও দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হতে পারে। ‌‘ইলিশের মৌসুমেও স্থানীয় বাজার চড়া। তারপরও ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’- এমন প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিয়মিত ইলিশ রপ্তানি করে না। শুধু দুর্গাপূজায় ভারতে যেসব বাঙালি  ইলিশ খেয়ে থাকেন, তাদের জন্য এই উৎসবের সময় শুভেচ্ছাস্বরূপ ইলিশ দেওয়া হয়। যেমন আমের সময় আম পাঠানো হয়। সারাবছর কিন্তু এক ছটাকও ইলিশ রপ্তানি করা হয় না। এই ১৫ দিন কিংবা এক মাসের জন্য টোকেনস্বরূপ কিছু ইলিশ রপ্তানি করা হয়।

শেয়ার করুন: