ছবি: সংগৃহীত
এনওয়াইপিডি কমিশনার জেসিকা টিশকে নব-নির্বাচিত জোহরান মামদানির অধীনে পদে বহাল রাখতে রাজি করানো ছিল গভর্নর ক্যাথি হোকুলের কাছ থেকে আসা একটি সুচিন্তিত পরিকল্পনার অংশ।
মামদানির ট্রানজিশন টিম যখন এই নিয়োগের ঘোষণা দেয়, তার কিছুক্ষণ পরেই বুধবার ডাউনটাউন ব্রুকলিনে হোকুল বলেন, ‘আমি আসলে গ্রীষ্মকালে, আবার শরৎকালেও আলোচনায় জড়িত ছিলাম।’
এই মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাটিক নেত্রীর পক্ষ থেকে সমানভাবে মধ্যপন্থী, এবং অপরাধ দমনে কড়া মনোভাবাপন্ন এই শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাকে বহাল রাখার জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগ তখনই পুরোপুরি প্রকাশিত হয় যখন হোকুল বলেন যে টিশের উপস্থিতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখাতে সাহায্য করবে যে শহরটি সঠিক হাতে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি সেই সময়কার প্রার্থীকে পরামর্শ দিয়েছিলাম যে এটি একটি ভালো ফল হবে, খুব ইতিবাচক। স্থিতিশীলতার গুরুত্ব নিয়ে পুলিশ কমিশনার এবং আমি একটি ইভেন্টে থাকাকালীন আমার তার সাথে আলোচনা হয়েছিল।’
গত বছরএকাধিক সহকারী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তদন্তে ধরা পড়ার পর হোকুল মেয়র এরিক অ্যাডামসকে সিটি হল এবং এনওয়াইপিডিতে শুদ্ধি অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন।
তিনি স্মরণ করে বলেন, ‘এই পদে এমন কাউকে থাকা, যিনি এত সুপরিচিত ও বিশ্বাসযোগ্য, এবং যিনি এসে সত্যিই ঘর পরিষ্কার (সঠিক ব্যবস্থা) করেছেন।’
গত সপ্তাহে হকুল মামদানির সাথে আলোচনায় বসেন, এবং সূত্র বলছে তারা টিশ সম্পর্কে কথা বলেছিলেন। এর এক সপ্তাহ আগে পুয়ের্তো রিকোর সান জুয়ানে হোকুল নিজের পরিকল্পনা জানিয়ে দেন।
৮ নভেম্বর সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সত্যিই তার (টিশের) হয়ে কথা বলতে চাই না, তবে আমি যদি মনে না করতাম যে তিনি পরবর্তী কমিশনার হবেন, তাহলে আমি এখানে দাঁড়িয়ে এমন কথা বলতাম না।’
টিশকে পদে বহাল রাখা ট্রাম্পের কাছে হকুলের প্রভাব দেখানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিও বটে।
তিনি বলেন, ‘এটি প্রেসিডেন্টকে আমাদের সামগ্রিক বার্তা দেওয়ার সাথে সম্পর্কিত। শুনুন, এখানে সব ঠিকঠাক থাকবে। আমাদের এমন একজন আছেন যার অভিজ্ঞতার ভা-ার পূর্ণ, এবং আমি দেখছি মামদানি প্রশাসন প্রকৃত পেশাদারদের নিয়ে আসছেন।’
হোকুল আরো যোগ করেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে আমি এই বিষয়টি বারবার জোর দেব, আমি ইতিমধ্যেই যে কথোপকথন শুরু করেছি তা চালিয়ে যাব যে আমরা ঠিক আছি। আমাদের ন্যাশনাল গার্ড অন্য কোথাও আরও ভালোভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।’
টিশের কার্যকালে অপরাধ কমে আসার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিকে ফেডারেল সৈন্য দিয়ে প্লাবিত করা এবং অভিবাসন প্রয়োগ জোরদার করার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনকে একটি বার্তা পাঠানোর জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যে: যদি আপনি এই অজুহাতে এখানে আসেন যে শহরে অপরাধ বাড়ছে বলে আমাদের ন্যাশনাল গার্ডের প্রয়োজন, তবে নিউইয়র্কের পরিস্থিতি মোটেই তা নয়, একেবারেই নয়।’
এছাড়াও, অত্যধিক নিয়ন্ত্রক হিসাবে প্রতিভাত না হওয়ার বিষয়ে সতর্ক থেকে, হকুল বলেন যে তিনি মামদানি প্রশাসনকে দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মেয়র এবং তার পুলিশ কমিশনারের মধ্যেকার সম্পর্ককে সূক্ষ্মভাবে পরিচালনা করতে যাব না।’
যদিও, মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাট হোকুল মামদানির তুলনায় টিশের সাথে বেশি একমত।

















