শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

নিউইয়র্কের  সুপারমার্কেটে  চোর আতঙ্ক

নবযুগ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯:১৪, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

নিউইয়র্কের  সুপারমার্কেটে  চোর আতঙ্ক

ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কে একটি ছুরি হাতে সশস্ত্র চোরের দল সিটিজুড়ে সুপারমার্কেটগুলোতে ত্রাস সৃষ্টি করছে, লক্ষাধিক ডলারের পণ্য নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে,  এবং দোকানের মালিকদের অভিযোগ, পুলিশ এই তা-ব উপেক্ষা করছে।

দোকানের মালিকরা মিডিয়াকে জানিয়েছেন, জুলাই মাস থেকে এই পাঁচজনের দলটি কয়েক ডজন দোকানে হামলা চালিয়েছে। তারা নির্লজ্জভাবে দামি মাংস, সালামি এবং সি-ফুড ব্যাগে ভরে নিয়ে যায়, এবং তাদের পালানোর পথে কোনো কর্মী বাধা দেওয়ার সাহস দেখালে ছুরি বের করে ভয় দেখায়। এরপর তারা দ্রুত গাড়িতে চড়ে পালিয়ে যায়।
আপার ম্যানহাটনে একটি ‘ফাইন ফেয়ার’ সুপারমার্কেটের মালিক এফ্রাইন ক্যাস্ট্রো মিডিয়াকে বলেন, ‘প্রতিবার তারা আসে, প্রায় ৮০০ ডলার মূল্যের ডমিনিকান সালামি চুরি করে নিয়ে যায়। এই লোকগুলো খুব দ্রুত কাজ করে। তারা জোরে আঘাত করে এবং ক্যাশবক্স দ্রুত খালি করে। তাদের একটা উদ্দেশ্য আছে, কারণ এটা তাদের ব্যবসা।’
মুদি দোকানিরা অভিযোগ করছেন যে ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের অধীনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে তারা নিজেদের অবহেলিত মনে করছেন। তাদের মতে, কর্তৃপক্ষের কাছে ফোন করা অর্থহীন, কারণ বারবার ছোটখাটো অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার পরও একই অপরাধীরা মুক্ত হয়ে যায়, যদি তাদের আদৌ অভিযুক্ত করা হয়।
তদন্তের সাথে জড়িত একটি সূত্র অনুসারে, গ্যাংয়ের অন্তত একজন সদস্য নিউ ইয়র্ক পুলিশের কাছে পরিচিত, যদিও তার পরিচয় মুদি দোকানিদের কাছে প্রকাশ করা হয়নি। সূত্রটি জানায়, এই সন্দেহভাজনের ‘গুরুত্বপূর্ণ গ্রেফতারের ইতিহাস রয়েছে, যার মধ্যে সুপারমার্কেট থেকে জিনিস চুরির সময় ছুরি বের করার ঘটনাও রয়েছে।’
ন্যাশনাল সুপারমার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্যামুয়েল কোলাডো জানান, স্থানীয় মুদি দোকানিরা এখন নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছেন এবং একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে একে অপরকে নতুন চুরির বিষয়ে সতর্ক করছেন। তিনি অনুমান করেন যে ১০০টিরও বেশি দোকানে এই গ্যাং হামলা করেছে— এবং লক্ষাধিক ডলার মূল্যের পণ্য চুরি হয়েছে।
কোলাডো বলেন, ১এটা অবিশ্বাস্য যে এই লোকেরা এত দীর্ঘদিন ধরে এমন কাজ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। আমরা এমন কোনো সংগঠিত অপরাধী দলকে দেখিনি যারা এমন অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন যে গ্যাংয়ের প্রভাব সম্ভবত আরো বেশি। কারণ এনএসএ শুধুমাত্র নিউ ইয়র্কের তাদের ২০০ সদস্যের কাছ থেকে রিপোর্ট করা ঘটনাগুলোই অনুসরণ করে।
গত মাসে মিডটাউন ম্যানহাটনের একটি মরটন উইলিয়ামস-এ চুরির চেষ্টার সময় ৬৪ বছর বয়সী একজন কর্মী অভিযুক্তের সাথে ধস্তাধস্তিতে মারা যান।
এই ঘটনাটি সংগঠিত চক্রটির সাথে সরাসরি সম্পর্কিত না হলেও, এটি দোকানের মালিকদের জন্য একটি ঐক্যের ডাক দিয়েছে, যারা বলছেন যে চুরির এই সংকটে পুলিশ নিয়মিত আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
এনএসএ-এর কোলাডো বলেন, ‘এই অপরাধের রিপোর্ট করার জন্য যখন আমরা ফোন করি, তখন পুলিশ আমাদের এমন ধারণা দেয় যেন আমরা তাদের বিরক্ত করছি।’
 

শেয়ার করুন: