ছবি: সংগৃহীত
এক শিশু এবং তার চাচাকে কামড়িয়েছিল কুকুর ‘কোজো।’ তবে কোজোর মালিক বলেছেন, এজন্য তিনিই দায়ী। লং আইল্যান্ডের ওই নারীর স্বীকারোক্তির বিষয়টি জানিয়েছেন স্যাফোক কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি রেমন্ড টিয়েরনি।
আগামী ২০ নভেম্বর তার সাজা ঘোষণা করা হবে। তবে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাকে তিন বছরের জন্য কোনো প্রাণীর মালিক হওয়ার অধিকার দেওয়া হবে না। তাছাড়া তিনি কোনো প্রাণী তার নিয়ন্ত্রণে বা পরিচর্যায় রাখতে পারবেন না।
অ্যাটর্নি টিয়েরনি বলেন, এই নারী তার পোষা প্রাণীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। ফলে এক নির্দোষ শিশু এবং শিশুটিকে রক্ষা করতে ছুটে আসা তার চাচাকে কামড়িয়েছে। তারা দুজনই মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, পোষা প্রাণীর মালিকদের বুঝতে হবে যে প্রাণীর মালিকানা প্রাপ্তির ফলে তাদের অনেক দায়দায়িত্ব চলে আসে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৪ মার্চ উইলি কোজোকে যথাযথভাবে না রেখেই দরজা খুলে দেন। এতে করে কুকুরটি দ্রুত বেগে ছুটে গিয়ে রাস্তার ওপর পাশে খেলতে থাকা শিশুটিকে কামড়ে দেয়। শিশুটির পাশে থাকা তার চাচা তাকে রক্ষা করার জন্য ছুটে এলে কুকুরটি তাকেও কামড়ে দেয়। কুকুরটি শিশুটির পা, চেহারা, মাথায় কামড় দেয়।
এই দৃশ্য দেখে শিশুটির পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে কুকুরটিকে তাড়িয়ে দেয়, শিশুটিকে উদ্ধার করে। এরপর শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই নারী জানান, তিনি জানতেন যে তার কুকুরটি বেশ বিপজ্জনক ও সহিংসপ্রবণ। ফলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার ছিল।