ছবি: সংগৃহীত
অনেক বেশি সতর্ক ক্রেতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে প্রথম কোয়ার্টারে ম্যাসির বিক্রি ও মুনাফা কমেছে। তবে তাদের ব্যবসায় যতটা খারাপ হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি।
ম্যাসির বিক্রি এক বছর আগের ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে হয়েছে ৪.৭৯ বিলিয়ন ডলার। তবে ফ্যাক্টসেট পূর্বাভাস দিয়েছিল ৪.৪২ বিলিয়ন ডলারের। অর্থাৎ ডিপার্টমেন্ট স্টোরটি পূর্বাভাসের চেয়ে ভালো করেছে।
এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও সিইও টনি স্প্রিং বলেছেন, ‘আমাদের প্রথম কোয়ার্টারের ফলাফল আমাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে যে আমাদের কৌশল ছিল যথাযথ।’
৩ মে সমাপ্ত মেয়াদে ম্যাসির আয় ছিল ৩৮ মিলিয়ন ডলার, বা শেয়ারপ্রতি ১৩ সেন্ট। এক বছর আগে তা ছিল ৬২ মিলিয়ন ডলার বা শেয়ারপ্রতি ২২ সেন্ট।
প্রতিষ্ঠানটি এখনো ধারণা করছে যে ২০২৫ সালে তাদের বিক্রি হবে ২১ বিলিয়ন ডলার থেকে ২১.৪ বিলিয়ন ডলার। আর পূর্ণ বছরের সমন্বিত আয় হতে পারে শেয়ারপ্রতি ১.৬০ ডলার থেকে ২ ডলার। ইতোপূর্বে এটি ২.০৫ ডলার থেকে ২.২৫ ডলার হবে বলে পূর্বভাস দেওয়া হয়েছিল।
তবে সার্বিকভাবে ম্যাসি এবং অন্যান্য খুচরা বিক্রেতা শুল্ক নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে তাদের পরিকল্পনা তৈরী করতে পারছে না।
এদিকে কিছু পণ্যের দাম ইতোমধ্যেই বাড়ানো এবং ব্যাক-টু-স্কুল শপিং মওসুম শেষ হওয়ার পর আরেক দফা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম রিটেইলার ওয়ালমার্ট প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তিরস্কার শুনেছে। এই রিটেইল জায়ান্টকে ট্রাম্প বলেছেন, তার শুল্কের ফলে সৃষ্ট অতিরিক্ত মূল্য প্রতিষ্ঠানটির ‘খাওয়া’ উচিত।
আর টার্গেট কোরপ ঘোষণা করেছে যে প্রথম কোয়ার্টারে বিক্রি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কমে গেছে। তারা চলতি বছরের বাকি সময়েও এই অবস্থা থেকে বের হতে পারবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দিয়ে ১২ মে ৩০ শতাংশ কমানোর কথা জানিয়েছেন। এছাড়া কোনো কোনো উচ্চতর শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিতও করেছেন। ট্রাম্প এছাড়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সকল আমদানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। আর আমেরিকায় তৈরি না হলে সকল স্মার্টফোনের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা জানিয়েছেন।
