মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

খাইরুল ইসলাম পাখির কিচিরমিচির-ছাপ্পান্ন

আমেরিকার খেয়ে আমেরিকাকে  গালি দেয়া বড্ড অন্যায়

খাইরুল ইসলাম পাখি

প্রকাশিত: ১৪:১২, ২৭ জুন ২০২৫

আমেরিকার খেয়ে আমেরিকাকে  গালি দেয়া বড্ড অন্যায়

ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকাকে ভালো না লাগলে, এখানে থাকবো কেন?  আপনি আমি তো বাধ্য নই, যে এখানে থাকতেই হবে। যদি থাকিই তবে এ দেশটাকেও ভালোবাসা উচিত, নয় কি? এদেশের খেয়ে পরে আবার এদেশকে গালি দেবো এ কেমন কথা? এমনটি করা তো রীতিমত কুরুচিপূর্ণ, গর্হিত কাজ। হ্যাঁ,
এদেশ নিয়ে আপনি সমালোচনা করতেই পারেন, একথা এদেশের সংবিধানেও সিদ্ধ আছে। এদেশের রাজনীতি বা সরকার নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করলে কেউ আমাদের বাঁধা দেয় না। কিন্তু গালি দেওয়া, আজেবাজে কথা বলাটা অসভ্যতা। অন্যকে গালি দিয়ে নিজের মুখই তো নষ্ট হয়। তাতে লাভ কি? কি এমন আনন্দ? বাক স্বাধীনতা পেয়ে মুখ নষ্ট করব কেন!
আমরা যদি জ্যাকসন হাইটস, স্টার্লিং,

চার্চ ম্যাকডোনাল্ড, এমন সব জায়গার কথা উদাহরণ হিসেবে বলি তাতেই বোঝা যাবে আমার এ লেখার হেতু। আমাদের যে কোন রেস্টুরেন্টে ঘুরে বা বসে দেখুন, এই আমরাই রাতদিন উচ্চস্বরে হাসিনা, খালেদা, ইউনুস বদ করছি, আর দেশ উদ্ধার করছি। এখানে বসেও এসব খিস্তি খেউড় করতে হবে কেনো!  আমাদের এই পুরোনো আর জটিল রোগ সারছেই না বরং একই তাল লয়ে-তার স্বরে,
অশ্লীল সব ভঙ্গিতে, অকথ্য ভাষায়, আমেরিকারও পিন্ডি চটকাই আমরা। এত সবের পরেও এরা যে এত আবর্জনা সহ্য করে, এটাই আমাদের চৌদ্দগুষ্টির কপাল। লজ্জার বিষয় হচ্ছে আমাদের এসব অপকা- দেখে আমাদের বাচ্চারাও মুখ ঘুরিয়ে নেয়। আমরা আমাদের অসভ্য আচরণ হয়তো ভুলতে পারছি না কিন্তু আবার এ দেশের খয়রাতি খাওয়াও ছাড়তে পারিনা। কি যে মজা ওই কার্ড ঘষে বড় ইলিশ মাছটা আর বেবি গোটের রানটা কেনা, আহা! 
তাই আসুন যেহেতু এই দেশটা আমাদের এত কিছু দেয়, অন্তত এই দেশটাকে আমরা কিছু দিতে না পারলেও যেন গালিগালাজ না করি। যারা এসব করেন না, আমার এ লেখা তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। তাই ভুল বুঝবেন না। সবার প্রবাস জীবন সুখময় ও মঙ্গলময় হোক। 
লেখক: অভিনেতা।
 

শেয়ার করুন: