ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কুকি-চিন নিয়ে ইস্যু খুঁজছে বিএনপি। তারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য নানা ইস্যু খোঁজে।রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, কুকি চিন নিয়ে সরকার সতর্ক ও শক্ত অবস্থান নিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই এলাকা ঘুরে এসেছেন, সেখানে যৌথ অভিযান চলছে।তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন ঠেকাতে, আন্দোলন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে।
নির্বাচন তো উন্মুক্ত ছিলো। নির্বাচনে গেলে বিএনপির ভরাডুবি হবে বলেই তারা নির্বাচনে যায় নি। খালেদা জিয়ার জন্য মির্জা ফখরুল ৫০০ নেতাকর্মী জড়ো করতে ব্যর্থ হয়েছে। আইনি লড়াইয়েও ব্যর্থ হয়েছে, মুক্তির আন্দোলনেও ব্যর্থ হয়েছে। আইনি লড়াইয়ে কালক্ষেপন করেছে বিএনপি। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খারাপের জন্য বিএনপি কম দায়ী নয়।দেশের সার্বভৌমত্ব আছে কি না জানি না : রিজভী
কাদের বলেন, নতুন করে আন্দোলন কবে কোন বছর, কোন ঈদের পর, কোন পরীক্ষার পর? গত ১৫ বছর আন্দোলনের হাকডাক বারবার শুনেছি। বিএনপির আন্দোলন করার শক্তি সামর্থ সবই তারা হারিয়েছে। বিএনপি আন্দোলন করতে চাইলে নেতাকর্মী পাবে না। তাদের নেতাকর্মীরা হতাশ। তারেক রহমানের ওপর হতাশ। রিমোট কন্ট্রোলের ডাকে দেশের জনগণ সাড়া দেবে না।এসময় তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীতা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। উন্মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করার ইচ্ছা বাসনা অনেকের থাকতে পারে। এমপি কিংবা মন্ত্রীরা এতে প্রভাব বিস্তার করবেন না। প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে নির্বাচনে কেউ যেন প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। নির্বাচন শুরু হলে বোঝা যাবে কে আসলে প্রার্থী। নির্বাচনের দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে খেসারত দিতে হবে।তিনি আরও বলেন, নিকট অতীতে রোজার মাসে আওয়ামী লীগের এতো তৎপরতা থাকেনি। অন্ত:কলহ, মতভেদ দূর করতে প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। বিএনপির কথা সত্যি হলে নির্বাচনের ৫ দিন পর সরকার পতন হতো, দুর্ভিক্ষে-অনটনে দেশ শেষ হতো। শীত নিদ্রায় যাওয়া ছাড়া বিএনপির এখন আর কোনো কাজ নেই।কাদের বলেন, নির্বাচনের আগে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। এর চেয়ে কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করার দু:সাহস বিএনপি-জামায়াত দেখাবে মনে করি না। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতা সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের আছে।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
