ছবি: সংগৃহীত
অনেক অভিবাসীকে দক্ষিণ সুদানে বহিষ্কার করার অনুমতি দেওয়ার জন্য মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের কাছে নতুন করে অনুরোধ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুদ্ধ-জর্জরিত এবং বিধ্বস্ত দেশটির সাথে কোনো ধরনের ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসন অনেক অভিবাসীকে আফ্রিকার দেশটিতে বহিষ্কার করতে চাচ্ছে।
এর আগ দিয়ে নি¤œ আদালতের রায় বাতিল করে হাই কোর্ট তৃতীয় কোনো দেশে দ্রুততার সাথে বহিষ্কার করার অনুমতি দিয়েছিল।
বোস্টনে ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ ব্রায়ান মারফি তার রায়ে বলেছিলেন যে সুপ্রিম কোর্টের রুলিং সত্ত্বেও দক্ষিণ সুদানে তাৎক্ষণিকভাবে সুনির্দিষ্ট বহিষ্কার ফ্লাইট চালু করা যাবে না।
তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন যে অভিবাসীদের অবশ্যই আদালতে তাদের দাবি উত্থাপন সুযোগ দিতে হবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তারা জানায়, এই রায় প্রশাসনের কর্তৃত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে এবং এ কারণে ফেডারেল সরকার আদালতের আদেশকে লঙ্ঘন করবে।
অন্যদিকে অভিবাসীদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীরা বলেছেন, দক্ষিণ সুদানে বহিষ্কার করা মানে তাদের মক্কেলরা কারাবরণ, নির্যাতন এবং এমনকি মৃত্যুর মুখেও পড়তে পারেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে স্বাধীনতা পাওয়া এই দেশটি দীর্ঘ দিন ধরে রাজনৈতিক সহিংসতায় জর্জরিত রয়েছে। তাছাড়া দেশটিতে নতুন করে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিবাসীদের বিতাড়িত করার বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়েক লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন।
যদি কোনো দেশ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে রাজি না হয়, তবে ট্রাম্প প্রশাসন ওইসব লোককে পানামা ও কোস্টারিকাসহ তৃতীয় কোনো দেশে বহিষ্কার করার পরিকল্পনা করছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে নিয়োদ করা বিচারক মারফিও তৃতীয় দেশে বহিষ্কারকে সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করেননি। তবে তিনি বলেছেন, অভিবাসীদের এ ব্যাপারে অভিমত থাকতে পারে। তারা ওইসব দেশে বহিষ্কৃত হলে নির্যাতিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কিনা তা জানা দরকার বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
