বিনা টিকিটে ভ্রমণ এড়ানো ঠেকাতে ব্রুকলিনের দুটি স্টেশনে বেসরকারি সশস্ত্র প্রহরী মোতায়েন করা হয়েছিল। আর তাতে বড় ধরনের সাফল্য লাভ করা গেছে। কয়েক মাসেই স্টেশন দুটি থেকে আয় হয়েছে এক লাখ ডলার।
প্রথমে এসব নিরাপত্তা কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছিল মাইটল-ওয়াইকফ অ্যাভেনিউতে। তারপর কাছের হ্যালসে স্ট্রিট স্টেশনেও তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। আর এতেই বাজিমাত। এক মাসে প্রায় এক লাখ ডলার টিকিট বিক্রি বেড়ে গেছে। এমটিএ সেফটি কর্মকর্তা রবার্ট ডায়েল বোর্ড সদস্যদের জানান, ‘গত ছয় মাসে আমরা দুই ধরনের প্রহরী নিয়োগ করেছি।’ তিনি বলেন, প্রহরীদের মেট্রোকার্ড ভেন্ডিং মেশিনের কাছে মোতায়েনের ফলে কাস্টমাররা খুব সহজে অর্থ পরিশোধ করতে পারছে। অন্যায় সুবিধা গ্রহণ বা শক্তি প্রয়োগ কমে গেছে। তিনি বলেন, নির্মগন পথগুলোতে পাহারা নিশ্চিত করার ফলে ভাড়া ফাঁকি দেওয়াটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
তিনি জানান, কোনো প্রহরী এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। এর প্রয়োজনও পড়েনি। তবে প্রহরীদের উপস্থিতির ফলেই বিনা টিকিটে ভ্রমণকারীরা সাবধান হয়ে গেছে। তারা বুঝতে পেরেছে, ফাঁকি দেওয়ার দিন শেষ। তারা খোলা দরজা দিয়ে আগের মতো নিশ্চিতভাবে পার পাবে না। টিকিট তাদের কিনতেই হবে। এমটিএ চিফ সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অফিসার প্যাট্রিক ওয়ারেন বলেন, লোকজনকে সৎ রাখার জন্যই প্রহরী মোতায়েন করা হয়েছে। বিনা টিকিটে ভ্রমণ করার কারণে ২০২২ সালে এমটিএর প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।