ফাইল ছবি
কেলেঙ্কারির বোঝা মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করার এক বছরের মাথায় নিউইয়র্কের তিনবারের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কোমো দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা যেকোনো ধরনের কথিত যৌন হয়রানির অভিযোগ ছিল তার চাকরির অংশবিশেষ। কাজেই ওই মামলার খরচ প্রমান না করায় তিনি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল লেতিতিয়া জেমসের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছেন।
বুধবার ম্যানহাটান সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলায় তিনি বলেছেন, সরকারি কাজে নিয়োজিত থাকার সময় কোনো মামলা হলে সেটার ব্যয়ভার সরকারই বহন করবে।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির মামলা চালাতে যে বিশাল খরচ হয়েছে, সেটার দায়ভার নিউইয়র্কের করাতাদেরই নিতে হবে।
উল্লেখ্য, কোমোর অধীনে থাকা এক ট্রুপার তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। তার অভিযোগের মধ্যে ছিল, কোমো তার স্পর্শকাতর গোপন অঙ্গে হাত বুলিয়েছেন। ওই নারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে জেমসের তদন্তে দেখা যায়, কোমোর বিরুদ্ধে প্রায় এক ডজন নারীর যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। কোমো গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তারে অনেকে ছিলেন তার অধীনস্ত।
অবশ্য, নানা কেলেঙ্কারি নিয়ে পদত্যাগ করার আগে কোমো তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আনা আরেকটি গুরুতর অভিযোগ হলো কোভিড-১৯ নার্সিং হোমে অবহেলাজনিত মৃত্যু। এছাড়া দায়িত্ব পালনকালে পুস্তক প্রকাশের ৫.১ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি নিয়েও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
এখন কোমোর আইনি লড়াই যুক্তি দিচ্ছেন যে তিনি যেহেতু দায়িত্ব পালনের সময়কার মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন, কাজেই এর ব্যয়ভার করদাতাদেরই বহন করতে হবে।
তবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, কথিত ওইসব যৌন হয়রানি করা তার সরকারি দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আর রাজ্যের আইনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তারা কোন কোন ক্ষেত্রে আইনি খরচ পেতে পারেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘অ্যান্ড্রু কোমো তার আইনি খরচ নিউইয়র্কের অধিবাসীদের দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করছেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, গভর্নর হিসেবে তার কর্মপরিধির মধ্যেই যৌন হয়রানিও পড়ে। কিন্তু কারো কাজের মধ্যে তার অধীনস্ত নারী কর্মীদের নির্যাতন করার কথা উল্লেখ করা নেই। করদাতারা কোমোর নির্যাতনের শিকারদের আক্রমণ করার জন্য তার আইনজীবীদের জন্য লাখ লাখ ডলার দিতে বাধ্য নয়।’