শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

বাংলার গায়েন ইউএসএ’র চ্যাম্পিয়ন নিউয়র্কের সবুজ

নবযুগ ডেস্ক

আপডেট: ২৩:২০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাংলার গায়েন ইউএসএ’র চ্যাম্পিয়ন নিউয়র্কের সবুজ

বাংলার গায়েন ইউএসএ’র চ্যাম্পিয়ন নিউয়র্কের সবুজ

জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো আরটিভির সংগীতের রিয়েলিটি শো উৎসব গ্রুপ প্রেজেন্টস বাংলার গায়েন ইউএসএ এর গ্র্যান্ড ফিনালে। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন নিউইয়র্কের খায়রুল ইসলাম সবুজ। রাজধানীর বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে চ্যাম্পিয়নের হাতে পুরস্কার ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী ডক্টর আবদুর রাজ্জাক। এসময় বিচারকমন্ডলী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। চূড়ান্তভাবে মনোনীত ১১ প্রতিযোগী এদিন পারফরমেন্স করেন।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ডক্টর আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাংলার গায়েন ইউএস অনুষ্ঠান বাংলার লোকসংগীতের সঙ্গে প্রবাসী তরুণ প্রজন্মর মেলবন্ধন তৈরী করবে। তারা প্রবাসে থেকেও বাংলা গানের চর্চা করে, বাংলা গানকে এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলো তা দেখে সত্যি খুব ভালো লাগছে। আরটিভিকে ধন্যবাদ এত সুন্দর আয়োজনের জন্য।

এ সময় আরটিভির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোরশেদ আলম বলেন, প্রবাসীদের শেকড়ে ফেরা ও বাংলা সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে এবং  বিশ্বের সব মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতেই আরটিভির এই আয়োজন। আজীবন বাংলা গান ও বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসার আহ্বান জানান শিল্পীদের প্রতি।  

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি এফবিসিসিআইয়ের প্রেডিডেন্ট ও আরটিভির ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিমউদ্দিন বলেন,  আমি তোমাদের গান শুনে মুগ্ধ হয়েছি। অনেকেই ভালো বাংলা বলতে পারেনা কিন্তু এত সুন্দর বাংলা গান গাওয়া সত্যি অসাধারণ। বাংলার গায়েনের ইউএস’র এই আয়োজন নতুন একটি মাত্রা তৈরী করেছে। আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই, উৎসবগ্রুপ এবং অন্যান্য স্পন্সর কোম্পানীকে যারা এই আয়োজনের সাফল্যে অবদান রেখেছেন। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র নয় বাংলা গান নিয়ে বিভিন্ন দেশে আগ্রহ তৈরী হবে। আমরা চাই তোমাদের প্রতিভার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে তোমরা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করো।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সহকারী মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বলেন, বাংলার গায়েনের প্রতিযোগীদের পারফরমেন্স, তাদের গান শুনে আমি অভিভূত। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের মধ্যে এই অনুষ্ঠান বেশ সাড়া যুগিয়েছে। তরুণ শিল্পীরা অনেক অনুপ্রেরণা পাবে।  আরটিভিকে এত সুন্দর আয়োজনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এ ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্যে দিয়ে আমেরিকা ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীর বাবলু বলেন, আমরা সোস্যাল মিডিয়ায় এক হাজারের বেশি গানের ক্লিপ পাই। সেখান থেকে বাছাই করা হয় প্রাথমিকভাবে এবং পরবর্তী কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে ফাইনাল রাউন্ড। আমরা অসাধারণ কিছু তরুণ শিল্পীকে পেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও তাদের পরিবেশনের মাধ্যমে বাংলা গানের প্রতি ভালোবাসা ও আগ্রহ দেখতে পেয়েছি। যা আমাদের অভিভূত করেছে। প্রতিযোগীদের পারফরমেন্সের মাধ্যমে বাংলার গায়েনের অন্ষ্ঠুানটি টেলিভিশন ও স্যোস্যাল মিডিয়ায় অনেক সাড়া পেয়েছি।

প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অডিশনের মাধ্যমে ৩শর বেশি প্রতিযোগীর মধ্যে ১১ জন শিল্পী বাছাই করা হয়। যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত তরুণ শিল্পীদের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগসূত্র স্থাপন হয়।

গ্র্যান্ড ফিনালেতে ফাস্ট রানার আপ হন নিউয়র্কের চন্দ্রা রায়, সেকেন্ড রানার আপ হন যৌথভাবে নিউইয়র্কের আলভান চৌধুরী ও বাফেলোর নাজিয়া রহমান। উক্ত আয়োজনের বিচারক হিসেবে ছিলেন সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন, ইমন সাহা এবং কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর।

শেয়ার করুন: