ছবি - নবযুগ
নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে এনওয়াইপিডি ও বাংলাদেশ কমিউনিটির মতবিনিময়। গত বুধবার জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্টুরেন্টে এ সভার আয়োজন করা হয়।
নিউইয়র্কের জনপ্রিয় হোম কেয়ার গোল্ডেন এজ হোমকেয়ারের উদ্যোগে ও এই প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মূলধারার রাজনৈতিক শাহ নেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন এনওয়াইপিডির কমিউনিটি অ্যাফায়ার্সের সার্জেন্ট এমডি এ লতিফ।
অনুষ্ঠানে শাহ নেওয়াজ বলেন, স্থানীয় প্রিসিঙ্কটের পুলিশ কর্মকর্তারা দিনরাত পরিশ্রম করে বাংলাদেশি কমিউনিটিসহ সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। যে কোন প্রয়োজনেই তাদের পাশে পাওয়া যায়। তাদের সঙ্গে কমিউনিটির সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের এজন্য তাদের এ সম্পর্ককে আরো গভীর করতেই ‘কফি উইথ এ কপ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি কমিউনিটির কল্যাণে কোন পদক্ষেপ নেয়া যায় কিনা তা আলোচনা হয়েছে।
সভায় যুক্তরাষ্ট্রের চলমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ইস্যুতে করণীয় ও প্রতিকার নিয়ে নিউইয়র্ক পুলিশের (এনওয়াইপিডি) স্থানীয় প্রিসিঙ্কট কর্মকর্তার বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ১০৩ প্রিসিঙ্কটের কমান্ডিং অফিসার ডেপুটি ইন্সপেক্টর রাফ-এ ক্লেমেন্ট, কুইন্স উত্তরের (পেট্রোল) ডেপুটি চিফ জোসেফ ডব্লিউ হিউয়ার্ড, অ্যাসিসট্যান্স চীপ ব্রায়ান সি হ্যানেসি, কমিউনিটি অ্যাফায়ার্সের এসিস্ট্যান্স কমিশনার আইডেন ফস্টার, ডেপুটিচীপ ভিক্টোরিয়া সি প্যারি, মাইক, ইন্টিলিজেঞ্চ পাবলিক সিকিউরিটি সেকশনের ডিটেকটিভ আব্দুস চৌধুরী, ডিটেকটিভ ওসামা আমীন, ডিটেকটিভ স্পেশালিস্ট অ্যাঞ্জেল ফ্যামিলিয়া, ১১৫ প্রিসিঙ্কটের কমান্ডিং অফিসার ডেপুটি ইন্সপেক্টর ডেভিড কর্ডানো, ক্যাপ্টেন আব্বাস, লিউট্যানেন্ট জোসেফ ভি ডিন, ডিটেকটিভ গঞ্জালেস গাভ্রিয়েল, ১০৮ প্রিসিঙ্কটের কমান্ডিং অফিসার ক্যাপ্টেন হামিদ এস আরমানী, এনওয়াই পিডি অফিসার ফ্যাডেল সি এএফ, ১০৭ প্রিসিঙ্কটের ডেপুটি ইন্সপেক্টর মো. সি চ্যাঙ, ১১২ প্রিসিঙ্কটের ডেপুটি ইন্সপেক্টর অ্যালেন ডাউনি, ১০৪ প্রিসিঙ্কিটের কমান্ডিং অফিসার ডেপুটি ইন্সপেক্টর কারাম চৌধুরী, ১০৬ প্রিসিঙ্কিটের কমান্ডিং অফিসার ক্যাপ্টেন বার্কলে কে ভান্টুল।
কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের ভাইস প্রেসিডেন্ট রানো নেওয়াজ, বাংলাদেশ সোসাইটি ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন দেওয়ান, জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী, সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আহসান হাবীব, অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, জ্যামাইকা বাংলাদেশ সোসাইটির সেক্রেটারি সৈয়দ রাব্বি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিশের কর্মকর্তারা বলেন, যে কোন পরিস্থিতিতে যুক্তারাষ্ট্রের একটি বিষয় সবাইকে মেনে চলতে হবে। তা হচ্ছে আইনের যথাযথ অনুসরণ। এখানে আইন সবার জন্য সমান। ব্যক্তির অভিবাসন স্ট্যাটাস যাই হোক না কেন তিনি রাষ্ট্রের সব মৌলিক সুবিধাই পাবেন। আইনের মধ্যে থেকেই নিউইয়র্কের যে কোন নাগরিক তার সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তা পেতে পারেন। রাষ্ট্র তা প্রদানে বন্ধ পরিকর। এ জন্য এনওয়াইপিডির বিভিন্ন বিভাগ সার্বক্ষণিক কাজ করছে। নাগরিদকের উচিত যথাযথ ইউনিটে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করা ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়। পুলিশ ও সিটির নাগরিকদের যৌথ প্রচেষ্টায় নিউইয়র্কের জীবন আরো সুন্দর হয়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে এনওয়াই পিডির পক্ষ থেকে বেশ কিছু সচেতনতামূলক লিপলেট বিলি করা হয়। এর মধ্যে ছিল চুরি প্রতিরোধ, লোটো স্ক্যাম, ক্রাইম প্রিভেনশন এলার্ট, বাস বাড়ির নিরাপত্তা ইত্যাদি।

















