বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

বিদ্যুৎ গ্যাস তেলের দাম বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারকে দিয়ে বিল পাস

ঢাকা অফিস: 

আপডেট: ০০:৩১, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

বিদ্যুৎ গ্যাস তেলের দাম বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারকে দিয়ে বিল পাস

ছবি: সংগৃহীত

সররকারকে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও তেলের মূল্য বাড়ানোর ক্ষমতা দিয়ে পাস হয়েছে, “বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৩' বিল। বর্তমান প্রক্রিয়ায় ট্যারিফ  কমিশনের মাধ্যমে গণশুনানী করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ট্যারিফ সমন্বয় (মূল্য বৃদ্ধিতে) এবং প্রচলিত আইনে বর্ণিত প্রক্রিয়ায় মূল্য নির্ধারণে সময় বেশি লাগে বলে দ্রুততম সময়ে ট্যারিফ সমন্বয়ের (মূল্য বৃদ্ধির) লক্ষ্যে সরকারের ক্ষমতা সংরক্ষণের জন্য আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। এদিকে বিলটিকে জনস্বার্থ বিরোধী উল্লেখ করে বিলটি পাসের প্রতিবাদে গণফোরামের মুকাব্বির খান সংসদ থেকে ওয়াক আউট করেন।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এরআগে বিলটির ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তবে গণফোরামের মুকাব্বির খান জনস্বার্থ বিরোধী বিলটি পাসের অভিযোগ তুলে সংসদ থেকে ওয়াক আউট করেন। তিনি বিলে বিদ্যুৎ খাতে দূর্নীতিবাজদের মুনাফাখোরদের সুরক্ষা দিতে এবং আবরো বিদ্যুতের দাম বাড়ানের জন্য জনস্বার্থ বিরোধী এই বিলটি পাসের অভিযোগ তোলেন। একইসঙ্গে এর প্রতিবাদে নিজের উত্থাপিত সংশোধনীগুলো প্রত্যাহার করে নেন। তনি বলেন, চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। বঙ্গবন্ধু প্রায়ই সে কথা বলতেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সুরক্ষা দিতে একবার ইনমেনিটি দেওয়া হয়েছিল। আজ দূর্নীতিবাজদের মুনাফাখোরদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ইনডেমনিটিসহ বিলটি আনা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানীর দাম আরো বাড়বে। এরআগে জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব তুলে মুকাব্বির খান বলেন, ‘বিদ্যুতের কালো আইন তুলে দিয়ে দেখেন দূর্নীতিবাজরা  কোথায় পালায়? বিদ্যুতের কালো আইন হলো ওদের কর্মকান্ডকে দেওয়া ইনডেমনিটি। আশা করি তিনি এটা প্রত্যাহার করে নিবেন’।

বিলে বিদ্যমান আইনের ৩৪ ধারার (ক) উপ-ধারা (৩) এর সংশোধনী এনে বলা হয়েছে, “তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন কর্তৃক প্রবিধানমালা প্রণয়ন না করা পর্যন্ত, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনঃনির্ধারণ বা সমন্বয় করিতে পারিবে।”।  এছাড়া বিলের ৩৪ক ধারা সংশোধন করে ‘ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনঃনির্ধারণ বা সমন্বয়ে সরকারের ক্ষমতা: সংশোজন করে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে, কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালী কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উহাদের উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহণ ও বিপণনের নিমিত্ত দ্রæত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুদকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনঃনির্ধারণ বা সমন্বয় করিতে পারিবে।"

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতি বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রাখিয়া বিদ্যুৎ, গ্যাস ও তেলের ট্যারিফ সমন্বয় করা প্রয়োজন। অর্থনীতির গতিকে চলমান রাখিবার স্বার্থে নিয়মিত ও দ্রæততম সময়ে ট্যারিফ সমন্বয়ের লক্ষ্যে বিইআরসি'র পাশাপাশি সরকারের ক্ষমতা সংক্ষণের জন্য আইনটি সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বিষয়টি জরুরি বিবেচনায়, বর্ণিত বিষয়ে আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে।

শেয়ার করুন: