বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

পদ্মা সেতুর স্বপ্ন জয়ের কথা

নবযুগ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ২৪ জুন ২০২২

পদ্মা সেতুর স্বপ্ন জয়ের কথা

উদ্বোধনের আগের রাতে আলো ঝলমলে স্বপ্নের পদ্মা সেতু

পদ্মা সেতুর নির্মাণে ‘স্ট্রাকচারাল নানা চ্যালেঞ্জ’ মোকাবেলা করতে হলেও বিশ্ব ব্যাংক সরে যাওয়ার পর কাজ পুরো বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কাটিয়ে ওঠাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বলে মনে করেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামীম জেড বসুনিয়া ।

শুরুতে এই প্রকল্পে দাতা ছিল বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও আইডিবি। ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রধান দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ প্রদান স্থগিত করে।

২০১২ সালের ২৯ জুন বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণা দেয়। এর চারদিন পর ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন।

অধ্যাপক বসুনিয়া বলেন, “দেশের ভাবমূর্তির বিষয় ছিল, আর্থিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ছিল। এখানে প্রধানমন্ত্রী তার কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করে এটি সুরাহা করলেন।”

পদ্মার বুকে পূর্ণ অবয়ব নেওয়া ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের এই সেতু নিয়ে আলোচনা চলছে অন্তত দুই দশক ধরে। ২০০১ সালের ৪ জুলাই সে সময়ের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা মাওয়া ঘাটে পদ্মা সেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
পরে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা জাইকা ২০০৪ সালে উপযোগিতা সমীক্ষা ও প্রাক সম্ভাব্যতা যাচাই করে মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে সেতু নির্মাণের পরামর্শ দেয়।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় আরেক দফা এ তৎপরতা শুরু হয়। সেতু নির্মাণে পরিচালিত সম্ভাব্যতা পরীক্ষা অনুযায়ী ২০ অগাস্ট ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বা ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প অনুমোদন দেয় একনেক।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়। নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে পদ্মার উপর সড়ক ও রেল চালানোর পরিকল্পনা নেয়। ২০০৯ সালের ৯ জানুয়ারি সেতুর তদারক প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের দরপত্র প্রস্তাব অনুমোদন করে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগের দরপত্র আহবান করা হয়। ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকায় পদ্মা সেতুর সংশোধিত নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক।
 

শেয়ার করুন: