ফাইল ছবি
মাঙ্কিপক্সের বিস্তার প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ইতোমধ্যেই ছয় হাজার ছয় শ’র বেশি আমেরিকান মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের এই ঘোষণায় ভাইরাসটি দমনে যেকোনো পরিমাণ অর্থ ও অন্যান্য সম্পদ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এই রোগে জ্বর, শরীর ব্যথা, শীত লাগা, ক্লান্তি অনুভব ও ফুসকুড়ি দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস বিভাগের প্রধান জ্যাভিয়ার বেকেরা।
বাইডেন প্রশাসন মাঙ্কিপক্স টিকার সহজলভ্যতা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ার প্রেক্ষাপটে এইচএইচএস এ ঘোষণা দিলো। নিউইয়র্ক ও সান ফ্রান্সিসকোর মতো প্রধান নগরীর ক্লিানিকগুলো জানিয়েছে, তারা চাহিদা অনুযায়ী দুই ডোজের টিকা পাচ্ছে না।
তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা ১১ লাখের বেশি টিকার ব্যবস্থা করেছে। আর প্রতি সপ্তাহে ৮০ হাজার রোগ শনাক্ত করার ব্যবস্থা করেছে।
ত্বক থেকে ত্বকের সংস্পর্শের কারণে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের বিস্তার ঘটে। একই বিছানা, টাওয়েল ও পোশাক ব্যবহার ছাড়াও আলিঙ্গন, ঘনিষ্ঠ হওয়া ও চুমুর মাধ্যমে ভাইরাসটি বেশি ছড়ায়। বর্তমানে প্রধানত সমকামী লোকদের মধ্যে রোগটি বেশি ছড়িয়েছে। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, রোগটি যে কারো হতে পারে।
এ রোগে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে কেউ মারা যায়নি। অন্যান্য দেশে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র যে রোগটি প্রতিরোধে খুবই আন্তরিক, তা বৃহস্পতিবারের ঘোষণায় বোঝা গেছে। রোগটি প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত দুই ডোজের টিকাই সবচেয়ে কার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে। বর্তমানে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় থাকা লোকরেকে ২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি করে টিকা দেওয়া হয়।
গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কিপক্সকে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বলে অভিহিত করে। রোগটি এখন ৭০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়া, ইলিনয়স, নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।